ছুরিকাহত রাবি ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক, আনা হচ্ছে ঢাকায়
গভীররাতে ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাত প্রায় সোয়া ১২টার দিকে নগরীর বিনোদপুর এলাকার এন আর ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি।
আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
আহত সাফফাত নায়েম নাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৯-২০ সেশন) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত প্রায় ১২টার দিকে বিনোদপুরের এম আর ছাত্রাবাসে অবস্থানরত কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া এক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রাবাসে অবস্থানরত এডমিশনের এক শিক্ষার্থীর মেসে অবস্থানরত আরেক রাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে নামাজ পড়া, মেসে চেচামেচি এবং বিভিন্ন বিষয়ে জোর জবরদস্তি করা নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। সেটি সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষার্থী তার সিনিয়রদের ডাকেন।
জানা যায়, পরে রাবি শাখা ছাত্রলীগ কর্মী ফরিদুলের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ছেলে সেই ছাত্রাবাসে যান। ঘটনার সমাধান শেষে মেসের বাইরে থাকা ৪-৫ জনের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বাঁধে। ঝামেলার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় এবং ছুরিকাঘাতে নাফি আহত হন। পরবর্তীতে গুরুতর অবস্থায় নাফিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তার সহপাঠীরা৷
এবিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ইবরাহীম জানান, ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। ছাত্রাবাসে হওয়া সমস্যার সমাধানের জন্য গতকাল রাতে এম আর ছাত্রাবাসে আমরা যাই৷ সমস্যার প্রায় সমাধান করে গেটের বাহিরে আসলে হঠাৎ কিছু লোক এসে গেট লাগা বলে অতর্কিতভাবে আক্রমন চালায়। ফলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয় পড়ি। সেখানে আমাদের সহপাঠী নাফি আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ‘নামাজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত। বিষয়টি জানামাত্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে তারা মৌলবাদী কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। আমরা বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ দুর্বৃত্তদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এবিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারবো না। তাছাড়া বিষয়টা দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।’