ফেব্রুয়ারির আমেজ নেই মার্চের বইমেলাতে
করোনা মহামারির সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫ দিন পর শুরু হয় ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২২’। ২৮ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় প্রকাশকদের লোকসান কমাতে ও পাঠকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি আমেজ নেই মার্চের বইমেলায়। পাঠক-দর্শনার্থীও কমে গিয়েছে। তবে ছুটির দিনগুলোতে উপস্থিতির পারদ তুলনামূলক উপরে উঠে।
সরেজমিনে মেলার ২৪তম দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমি চত্বর ঘুরে দর্শনার্থী-পাঠকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় না। মন্থর গতিতে চলছে বিক্রি।
এদিকে বিক্রয়কর্মীরা বলছে, সাধারণ মানুষ বইমেলা বলতে শুধু ফেব্রুয়ারিই বুঝে। অনেক সাধারণ মানুষের একটা ধারণা বিদ্যমান যে, মার্চ বইমেলার সময় না। হয়তো সেজন্যই উপস্থিতি কিছুটা কম। তবুও শেষ সময় হলে যেসব বইপ্রেমী পাঠক আসছেন, সময় বিলম্ব না করেই কিনে ফেলছেন পছন্দের লেখকের বইগুলো।
বেশ কয়েকজন পাঠকের সাথে কথা হলে তারা জানান, মার্চের বই মেলাতে সেই আমেজটা না থাকলেও অনেকটা স্বস্তিতে বই কিনতে পেরে ভাল লেগেছে তাদের।
উৎস প্রকাশনের প্রকাশক মোস্তফা সেলিম বলেন, এবার মেলা বেশ ভালো হচ্ছে। প্রতিদিনই পাঠকরা আসছেন, বই কিনছেন। পাঠকদের উপস্থিতি আমাদের প্রেরণা জোগায়।
কথা প্রকাশের ব্যবস্থাপক ইউনুছ আলী বলেন, অন্য বছর মেলা শুরুর সপ্তাহখানেক পর থেকে বেচাকেনা শুরু হতো। তবে এবার মেলা শুরুর দিন থেকেই বেচাকেনা হচ্ছে। ছুটির দিনগুলোতে আশানুরূপ বেচাকেনা হয়েছে। আশা করছি, বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
তাম্রলিপি, আদর্শ, প্রথমা, ঐতিহ্যসহ বেশ কয়েকজন বিক্রয়কর্মীর সাথে কথা হলে তারা জানান, শেষ দিকে হয়তো উপচে-পড়া ভিড় হবে। বিক্রিও দ্বিগুণ হবে, বলে তাদের প্রত্যাশা।
মেলার বাকি ৭ দিন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও অমর একুশে গ্রন্থমেলার লিটল ম্যাগাজিন (লিটল ম্যাগ) চত্বরের বেশ কিছু স্টল এখনো বন্ধ। বরাদ্দ নিলেও সেগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বিষয়টিকে দৃষ্টিকটু হিসেবে দেখছেন প্রকাশকরা। হয়তো এবছরের মেলা প্রাণহীন থেকে বিদায় নেবে লিটল ম্যাগ চত্বরটি।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মেলায় নতুন বই এসেছে ৫৯টি। এর মধ্যে গল্প ১০টি, উপন্যাস ১টি, প্রবন্ধ ৩টি, কবিতা ১৯টি, গবেষণা ১টি, ছড়া ১টি, শিশু-সাহিত্য ২টি, জীবনী ৩টি, মুক্তিযুদ্ধ ৩টি, ভ্রমণ ২টি, ইতিহাস ১টি, রাজনীতি ১টি, স্বাস্থ্য ১টি, বঙ্গবন্ধু ১টি, অনুবাদ ২টি, অভিধান ২টি ও অন্যান্য ৭টি।