নির্যাতনের অভিযোগ করে ‘হলছাড়া’ ঢাবি শিক্ষার্থী



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ তোলেন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু তালিব। নির্যাতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে ‘সংবাদ সম্মেলনও করে তালিব। তোলেন নানা অভিযোগ এবং বর্ণনা করেন সেই দিনের ঘটনাও। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।

ড. মো. আবদুস সোবহান তালুকদার ছাড়াও আবাসিক শিক্ষক ড. সাইফুল হক, ড. আব্দুল খায়ের এবং তানজিল শাহ তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন।

গত শুক্রবার (১১ মার্চ) থেকেই হলের বাইরে অবস্থান করছেন তালিব। আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) হলে উঠতে পারেননি, বলে আবু তালিব বার্তা২৪.কম’কে নিশ্চিত করেন।

তালিব অভিযোগ করেন, নির্যাতনকারীদের পক্ষ থেকে হলের সিনিয়ররা প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা আমাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করে দিয়ে মধ্যস্থতা করে নেয়ার কথা বলেছে। তা না করলে ‘আমি মাদক গ্রহণ করি’ এ মর্মে মামলা দেবে। এছাড়া আমার পরিবারের সদস্যদেরও অপমান করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

হল সূত্রে জানা যায়, হলটির ২০১ (ক) নম্বর কক্ষে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আবু তালিব, সেখানে ১৪ জন শিক্ষার্থী থাকেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি। তবে আলাদা আলাদা নয়, সবার সঙ্গে একসঙ্গে কথা বলা বলেছেন কমিটির সদস্যরা। সবাইকে লিখিত মতামত দিতে বলা হয়েছে। সেখানে হলের সিনিয়র যারা নির্যাতনকারীদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত তাদের পরামর্শ অনুযায়ী লিখিত মতামত লিখে তদন্ত কমিটিকে দেওয়া হয়েছে।

কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আবু তালিব বলেন, সবাইকে একসঙ্গে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে ভয়ে কেউ সত্য বলবে না। সিনিয়ররা যেটা লিখে দিয়েছে সেটাই তারা তদন্ত কমিটিকে দিয়েছে। এখানে সত্য ফুটে উঠবে না। এছাড়া যেখানে তদন্ত কমিটির সদস্যরাই আমাকে মধ্যস্থতা করতে বলছে, সেখানে বুঝা যাচ্ছে রিপোর্ট কেমন হতে পারে।

এ দিকে আবু তালিবকে মধ্যস্থতা করতে বলেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য হলের আবাসিক শিক্ষক। তিনি তালিবকে বলেছেন, ‘মিউচুয়াল করে দিই তুমি হলে থাকো।’ আমি স্যারকে জানিয়েছি, ‘হলে থাকলে গেস্টরুম প্রোগ্রাম করতে পারব না এবং বৈধভাবে থাকতে চাই।’ কিন্তু স্যার আমাকে বলেছেন, ‘এখানে থাকতে হলে এগুলো একটু করতে হবে। থার্ড-ফোর্থ ইয়ারে এগুলো কমে যাবে।’

এদিকে নির্যাতনে ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আবদুস সোবহান তালুকদার বলেন, ওই শিক্ষার্থী যদি নিয়ম মেনে হলে থাকতে চায় কিংবা উঠতে চায়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি যেন আমাকে অথবা প্রাধ্যক্ষ জানায় সেটা বলেছি। সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আর সেটা অসম্ভবও নয়। হলে উঠলে কোনো ছাত্রনেতা বা কেউ তাকে নির্যাতন করবে বলে আমার মনে হয় না, বলে মনে করেন ওই আবাসিক শিক্ষক।

আবু তালিবকে হলে তোলার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি’না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসাইন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এটি নিয়ে কাজ করছেন। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ঢাবির মল চত্বরে ধূমপান করতে দেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১(ক) নাম্বার রুমে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) গভীর রাতে ওই হলের ছাত্র আবু তালিবকে ডেকে এনে ধোঁয়া না ছেড়ে পুরো সিগারেট শেষ করার নির্দেশ দেন, সেই সঙ্গে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার বলে অভিযোগ উঠে একই হলের ২০১৮-১৯ সেশনের চারজন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।

   

তীব্র তাপদাহের মধ্যেও সশরীরে ক্লাসে ফিরছে জবি 



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র তাপদাহের মধ্যেও সশরীরে ক্লাসে ফিরছে জবি 

তীব্র তাপদাহের মধ্যেও সশরীরে ক্লাসে ফিরছে জবি 

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে গত ২ সপ্তাহ অনলাইনে ক্লাসের পর আবারও সশরীরে ক্লাসে ফিরছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কমিয়ে এনেছে ক্লাসের সময়কাল।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সপ্তাহে চারদিন হবে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রতি মঙ্গলবার হবে অনলাইন ক্লাস। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে ক্লাস-পরীক্ষা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষার সময়সূচী পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম, পিএইচডি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৫ মে, ২০২৪ রবিবার হতে সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৭ মে, ২০২৪ হতে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চলবে। এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্য ঝুকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।

;

ঢাবির ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ উপলক্ষ্যে বিভাগের উদ্যোগে র‍্যালি, বেলুন উড্ডয়ন, কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাবি ভূতত্ত্ব অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার সাহা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্মৃতিচারণ করে বলেন, জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ভূতত্ত্বের বিষয়গুলো অনেক উপভোগ্য। ভূতত্ত্ববিদদের সমতলে, পাহাড়ে, ভূ-অভ্যন্তরে এমনকি মহাকাশে সমভাবে কাজ করতে হয় এবং সকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হয়। সকল ধরণের সক্ষমতা অর্জন করে ভূতত্ত্ববিদরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ভূতত্ত্ব শুধু অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি মানুষের জীবনের সাথে গভীরভাবে মিশে আছে। সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও অ্যালামনাইরা প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। ভূতত্ত্বের পরিধি ও কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি এর প্রায়োগিক দিক আরও জোরদার করার জন্য শিক্ষক, গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ৭৫ বছরের পথচলায় বিভাগের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশের উন্নয়নে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও জ্ঞানের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাইবৃন্দ অংশ নেন।

;

জবির প্রথম বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক ড. আব্দুল মালেক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. মো. আব্দুল মালেক

ড. মো. আব্দুল মালেক

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রথমবারের মতো বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক নতুন এই পদের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ৮ (ণ) ধারা অনুযায়ী ড. মো. আব্দুল মালেককে বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি পরবর্তী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। আদেশটি পহেলা মে থেকে কার্যকর হবে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত সংযোজিত এই পদের পরিচালক হিসেবে ড. মালেক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও কোলাবোরেশান, বিদেশী শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়াবলি তদারকি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে অংশগ্রহণ সহ যাবতীয় বৈদেশিক বিষয়াদি দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে।

এ বিষয়ে ড. মো. আব্দুল মালেক বলেন, আমি আশা করি মাননীয় উপাচার্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি ভালোভাবে পালন করতে পারবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দপ্তরটি একেবারেই নতুন। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে দাপ্তরিক কাজ শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমি প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা, বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশানের নীতিমালা তৈরীর কাজ করবো। 

 

;

ঢাবিতে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (CARASS)- এর উদ্যোগে 'ভাষা আন্দোলন এবং বিশ্বে বাংলাভাষী স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আবির্ভাব' শীর্ষক দু'দিন ব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভাষা আন্দোলনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। লন্ডন কিংস কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জন উইলসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন। অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভাষা বিষয়ে সমন্বিত গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন বাঙালির আত্ম-পরিচয় ও স্বাধিকারের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বহুত্ববাদের আদর্শকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিকৃত ইতিহাস রচনা করে এবং বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অপচেষ্টা চালায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের চেতনাকে জাগ্রত করে। এটি বাঙালির আত্ম-পরিচয়, আত্মমর্যাদা ও জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার জন্য তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। নতুন জ্ঞান বিতরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্যের মাঝে উদ্দীপনা জাগাতে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

;