স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রকে স্টাম্প দিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
হামলার শিকার আখলাকুজ্জামান অনিক বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নরত।
জানা যায়, শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে বিজয় একাত্তর হলের পদ্মা ব্লকের ২০১০ নম্বর কক্ষে ঘুমে ছিল অনিক। দরজায় হঠাৎ নক করার শব্দ পেলে, দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিকভাবে ১০ থেকে ১২ জন কক্ষে ঢুকে তার ওপর অতর্কিত হামলা করার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অনিক। শরীরের নানা স্থানে জখমের পাশাপাশি, স্টাম্পের আঘাতে তার মাথায় পড়েছে সাতটি সেলাই।
হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে চিনতে পেরেছেন অনিক। হামলার অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ১০-১২ জন হামলায় অংশ নেন বলে জানান তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে উল্লেখ করেছেন চারজনের নাম।
অভিযুক্তরা হলেন- সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মাসফিউর রহমান, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সফিউল্লাহ সুমন (পিটার), ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাব্বির আল হাসান, সাংবাদিকতা বিভাগের নাইমুর রশিদ নাঈম।
হামলাকারীরা হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী বলে জানা গেছে। সজীব ছাত্রলীগের ঢাবি শাখা সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।
অভিযুক্ত মাশফিউর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। আখলাকুজ্জামান অনিক ভুল বলছেন।
বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীব বলেন, পূর্ব একটি ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। যারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।
সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন মনে হয় এবং আমাদের সিনিয়র নেতারা নির্দেশনা দেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ইতিমধ্যে দায়িত্বরত শিক্ষককে সেখানে পাঠিয়েছি। তিনি কথা বলেছেন। তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। আমরা আগামীকাল (রোববার) সকাল ১০টায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।