‘সোনার বাংলা গড়ার জন্য মিথ্যাকে শেষ করতে হবে’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, যে দেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণ নিজের জীবন আত্মবিসর্জন দিতে পারে, সে দেশে মিথ্যা পরিহার করে সুন্দর সুশীল সমাজ বিনির্মাণও সম্ভব। সোনার বাংলা গড়ার জন্য মিথ্যাকে শেষ করতে হবে। আর এই মিথ্যা পরিহারের সংস্কৃতি পরিবার থেকে শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর.সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘নিজে সৎকাজ করি অন্যকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘সুপরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ: একটি মিথ্যামুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।অর্পণ-দর্পন স্মৃতি ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধোঁকার উদ্দেশ্যে অসত্য কিছু বলা হলো মিথ্যা। মিথ্যা বিশ্বাসযোগ্যতাকে নষ্ট করে দেয়। প্রতিটি ধর্মে মিথ্যা একটি ঘৃণ্য বিষয়। অথচ সব ভুলে গিয়ে নিজেদের স্বার্থে আমরা প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে যাচ্ছি। দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রভাবে মানুষ পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। যদিও এটি যোগাযোগের ভালো মাধ্যম কিন্তু এখানে মিথ্যার আশ্রয় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যণীয়। কিছু কুচক্রী লোক আংশিক মিথ্যা ছড়িয়ে সমাজে ভয়-সংঘাত সৃষ্টি করছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে এই গুজব সমাজে দিন দিন সমস্যা সৃষ্টি করছে। গুজবের এই ভয়াবহতা থেকে জতিকে রক্ষার জন্য দরকার কঠোর আইন, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা।
সেমিনারের স্লোগানের আলোকে নিজেকে ঠিক করে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য জাতীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী, চাকরিজীবী মহলের সকলকে আহ্বান জানান তিনি।
অর্থনীতিবিদ ও পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউনডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান।
এছাড়াও সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- অর্পন দর্পণের প্রধান নির্বাহী ও ধর্মের প্র্যাকটিক্যাল বইয়ের লেখক রাশেদুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপক, কবি ও গবেষক ড. সাইফ ফাতেউর রহমান।