কথা কাটাকাটি থেকে দুই হলের শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

মেসেঞ্জার গ্রুপে কথাকাটাকাটির জেরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পরে। যা পরে হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।

অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার ব্যাচমেটদের। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইসিটি বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী একই ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গালিব ও তার বন্ধু আবদুল্লাহ আল কাউসারকে মারধর করে। এরপর গালিব ১৩ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে আসে৷ এ সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে বঙ্গবন্ধু হল ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এসে হাজির হয় এবং ঘটনা বৃহৎ আকার ছড়িয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

মারধরের শিকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল কাউসার বলেন, 'আমরা গেইটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দত্ত হলের দুইটা ছেলে একজনের নাম আলভির (রসায়ন ১৪তম ব্যাচ) আরেকজন আইসিটি ১৪ ব্যাচের তবে নাম জানি না, আমাকে বলতেছে 'তুই নাকি ডিপার্টমেন্টে পাকনামি করস?' একথা বলে দুইটা থাপ্পড় মারছে। পরে গালিব সহ কয়েকজনকে জানাইলে ওরা তাদের গিয়ে ধরছে, কিরে ওরে মারছস কেন? পরে ওরা (আলভি) গালিব, মুজাহিদ সহ আমাদের মারছে।'

এদিকে মারধরের ব্যাপারে অভিযুক্ত আলভীর ভূঁইয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, 'আপনের (আবদুল্লাহ আল কাউসার) সাথে আমার ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ধাক্কা লাগে। তখন তাকে কোনো ব্যাচ জিজ্ঞেস করি। তারপর তার সাথে কথা কাটাকাটি হলে, সে আমার শার্টের কলার ধরে। তারপর আমরা দুজন তাকে থাপ্পড় দিই। পরে বঙ্গবন্ধু হলের সেলিমসহ কয়েকজনের সাথে হাতাহাতি হয়।' তবে মেসেঞ্জার গ্রুপের সূত্র ধরে মারামারির ঘটনাটি পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, 'ঘটনা কী কারনে হয়েছে এর কারণ এখনও জানা যায়নি। উত্তেজনা কমলে আমরা বসে বিচার করে মিটমাট করবো।'

সম্প্রতি হল কেন্দ্রিক এধরণের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হল গুলোর দায়িত্বে যারা আছে তারা হলের সবকিছু ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হল ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দিবো।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। উভয়পক্ষকে শান্ত করে হলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল প্রক্টরিয়াল বডি এ নিয়ে বসবে, কারও দোষ থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।