ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে উপলক্ষে ঢাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার টিএসসি মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ওই আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম বৈধ সরকার। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দেশের প্রথম এই সরকারের বিরুদ্ধে আঘাত হানার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এই অপশক্তির ব্যাপারে নতুন প্রজন্মকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সাংবিধানিক ভিত্তি ও আইনী কাঠামোর আলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ঐ সরকার গঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় এবং একই বছর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এ সরকার শপথ গ্রহণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সরকার গঠিত হয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত এই সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য।
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি খোরশেদ আলমসহ কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজকের এ দিনে (১৭ এপ্রিল) মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়। এর আগে একই বছরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়।