ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের নিয়োগ ভাইভায় অনিয়মের অভিযোগ

  • আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন অফিস সহকারী পদে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইনস্টিটিউটের বর্তমান পরিচালক এবিএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর একটি প্রতিবাদলিপি দিয়েছে মাহমুদ ফয়সাল শোভন নামে ভুক্তভোগী প্রার্থী।

মাহমুদ ফয়সাল শোভন জানান, গত ৯ এপ্রিল আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ৩ টি অংশ যথা : লিখিত ব্যবহারিক (কম্পিউটার) ও মৌখিক অংশের পরীক্ষায় আসাধারণভাবে উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আমাকে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইচ্ছাকৃতভাবে সকলের সামনে অপমান ও অপদস্থ করেন যা ষড়যন্ত্রমূলক ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার ইংঙ্গিত বহন করে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, এ পদের জন্য সি অ্যান্ড ডি কমিটির ৮ মার্চের মুলতবি সভা যা ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অফিস কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের (তৃতীয় শ্রেণির) কমিটি গঠনে অধ্যাপক সাইদুর রহমান, শামীম বানু, আবসার কামাল এবং অতিরিক্ত সদস্য হিসাবে প্রফেসর আনসারুল আলমের নাম সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সি অ্যান্ড ডি কমিটির সেই সিদ্ধান্ত কমিটিতে নিশ্চিতকরণ না করে তালিকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ড. সাইদুর রহমানের নাম বাদ দিয়ে পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মনগড়া একটি তালিকা সি অ্যান্ড ডির অনুমোদন ছাড়া নিজে লিখে পাঠান। এ ব্যাপারে সিঅ্যান্ড ডি-এর তিনজন সদস্য পরিচালককে লিখিতভাবে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অনুরোধও করেন।

এ ব্যাপারে পরিচালক ড. এবিএম রেজাউল করিম বলেন, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সকল কাজ নিয়মমাফিক চলছে। নিয়োগ পরীক্ষাও নিয়মের হচ্ছে। এখন কেউ যদি বঞ্চিত হয় তখন সে তো নিজেকে যোগ্যতর প্রমাণ করার চেষ্টা করবেই। এটা তো স্বাভাবিক। পূর্বে এ ধরনের কোনো অভিযোগ উঠেনি। হঠাৎই এসব অভিযোগ উঠতেছে আমার বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অনেক সময় অনেকের চাকরি না হলে এ রকম বলেন। তারা বিভিন্ন কারণে সংক্ষুব্ধ হন। ওই কমিটিতে শিক্ষক ও রেজিস্টার অফিসের অনেকে ছিলেন-তারা কেউ আমাকে এমন ধরনের কথা জানাননি। একটা ছেলে আমার কাছে এসেছিলেন। দেখলাম তিনি খুব সংক্ষুব্ধ। আমাকে একটা কাগজ দিয়েছিলেন। দেখি আমি খোঁজ নেব আসলে ওইখানে এ রকম ঘটনা ঘটেছিল কিনা।