ঢাবি উপ-উপাচার্যসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। সভায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহ বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর দেওয়া বক্তব্যকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে খণ্ডিত ও অসত্য আকারে প্রকাশ করে তার সম্মানহানির অভিযোগ এনে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অনলাইন পত্রিকা বি বার্তাটোয়েন্টিফোর ডট নেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি এবং প্রতিবেদক মহিউদ্দিন রাসেল বরাবর ওই নোটিশ পাঠান অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর পক্ষে আইনজীবী মো. আমিনুল গনী টিটু।

বিজ্ঞাপন

ওই আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক রহমত উল্লাহ মূলত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শীর্ষক আলোচনায় উক্ত জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং একই সঙ্গে খন্দকার মোশতাক আহমেদকে কুলাঙ্গার হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন। কিন্তু ১ নং নোটিশ গ্রহীতা (অধ্যাপক সামাদ) উক্ত বক্তব্যের প্রকৃত সত্য জেনেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার সম্মান কলঙ্কিত করার হীন উদ্দেশ্যে প্রকৃত সত্য গোপন করে মনগড়াভাবে বক্তব্য সাজিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমেদকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মর্মে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে প্রতিবাদের নামে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের প্রকৃত সত্য গোপন করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অধ্যাপক সামাদের মনগড়া বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর মিথ্যা বক্তব্য উল্লিখিত অনলাইন পত্রিকায় (বিবার্তা) তথ্যসূত্র উল্লেখ না করে প্রকাশ করে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর ব্যক্তিগত, পেশাগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে কালিমা লেপন করা হয়েছে। তার সম্মানহানিসহ অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এমন পরিস্থিতিতে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিন দিনের মধ্যে অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর দেওয়া সম্পূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে না পারলে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আইনজীবী মো. আমিনুল গনী টিটু বলেন, তারা তাদের মনগড়া একটা বক্তব্য তৈরি করে পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। বক্তব্যের অবশ্যই রেকর্ড আছে, না হয় তারা বললেন কোথা থেকে। রেকর্ডটা প্রকাশ করলে আমরা বুঝতে পারব আমাদের অপরাধটা কোথায়। আমরা খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি কি-না।

তিনি আরও বলেন, তিন দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ ও অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে আমরা আজ একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। আশা করছি উনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি পেয়ে যাবেন।