অব্যাহতির পরও পেলেন ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র প্রধানের দায়িত্ব
একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগটির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনসহ দুই শিক্ষককে তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও ছয় মাস পেরোতে না পেরোতে একটি ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২০ মে) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা কোর্সের ওই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই আয়োজনের সমন্বয়কারীরর দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান।
অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত গত ১৭ মে অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বরাবার পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা মাননীয় উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে জীববিজ্ঞান অনুষদ সমন্বয় করছে। পরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আপনাকে (অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন) কেন্দ্র প্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আপনার অধীনে নির্দিষ্ট সংখ্যক কক্ষ ব্যবহৃত হবে এবং এ কাজে আপনার বিভাগের ১ জন ৩য় শ্রেণি এবং ১ জন ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ওই সময় কাজে নিয়োজিত করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকারের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রার অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন-১) মো. দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। কিছু কিছু কাজ প্রশাসনিকভাবে করাতে পারে। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
অব্যাহতি পাওয়ার পরও অধ্যাপক বাহাউদ্দিনকে কেন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল ও খুদে বার্তা পাঠানোর পরও তার কোন সাড়া মেলে নি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ৩য় বর্ষ ৬ষ্ঠ সেমিস্টার বি.এ সম্মান পরীক্ষায় ফলাফলে ব্যাপকভাবে ব্যবধান রেখে চূড়ান্ত করার আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের (২৯ জানুয়ারি ২০১৯) সুপারিশ ও সিন্ডিকেটের (৩০ জানুয়ারি,২০২২) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার বিষয়টি গেল ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।