প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মিছিলে হামলার অভিযোগ

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে ছাত্রলীগের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সকে সাইড দিতে বলায় তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে তারা।

সোমবার (০৬ জুন) সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায়সহ ৭ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের ব্যানার শাহবাগে বামপন্থী আটটি ছাত্রসংগঠনের যৌথ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সমাবেশ শেষে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে যাওয়ার পথিমধ্যে শাহবাগ থানা সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সালমান সিদ্দিকি বলেন, সমাবেশ শেষে আমরা মিছিল নিয়ে শাহবাগের রোড হয়ে টিএসসির দিকে আসছিলাম। এ সময় আমাদের মিছিলের পিছনে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। আমরা এগুলোকে সাইড দিয়ে পাঠিয়ে দেই। এরপর দেখি মিছিলের পিছনে কিছু বাইক। এসব বাইকেই মূলত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছিল। এ সময় তারাও বাইক নিয়ে চলে যেতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায় তাদের বাধা দেয়। পরে তাকে তারা মারধর করে, এরপর মিছিলের সামনে থাকা আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেই।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, তাদের হামলায় অনিকের মাথায় সাতটি সেলাই লেগেছে। এ ছাড়া ছাত্রফ্রন্টের মোজাম্মেল হক, নাহিয়ান রাহাতসহ সাতজন আহত হয়েছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক উপসম্পাদক নাজমুল হাসান ওরফে রুপু ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী শেখ মাশরুফ হোসেন ওরফে সুজন তাদের ওপর হামলা করেছেন।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অভিযোগ, প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরাই ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর প্রথমে হামলা করেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, তারা যখন মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল তাদের মিছিলের পিছনে কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়েছিল। এরপর আমাদের বিভিন্ন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী যখন তাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে জায়গা করে দিতে বলেছে সেই প্রেক্ষিতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মিছিলে তারা (প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা) লোক সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে তারা মারধর করেন। এই কারণে হয়ত পরে আরও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রসংগঠনের নেতারা যদি শুরুতেই দায়িত্বশীল আচরণ করতো তাহলে এই ঘটনাটা এড়ানো যেত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেয়েছি, কেউ কাউকে হামলা করেনি। রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বহিরাগতরা ছিলেন বলেও খবর পেয়েছি। দুই পক্ষই আমার কাছে অভিযোগ করেছে। দুই পক্ষই পরস্পরকে মেরেছে এবং আহত করেছে।