লঞ্চ বিকল হয়ে সুরমা নদীতে আটকা ঢাবির শিক্ষার্থীসহ শ খানেক শিক্ষার্থী

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার এলাকায় সুরমা নদীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী আটকা পড়েছেন। তাদের বহন করা কপোতাক্ষ-অনির্বাণ নামের একটি লঞ্চ সুরমা নদীর মাঝে পৌঁছানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে কপোতাক্ষ-অনির্বাণ ট্যুরিস্ট বোট নামের একটি নৌযানে করে সিলেটের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নৌযানটি অচল হয়ে পড়ে। নদীতে তীব্র স্রোত এবং বৃষ্টি হওয়ায় তারা নদীর মাঝখানে আতঙ্কে আছেন।

বিজ্ঞাপন

আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ জানান, সকালে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে কপোতাক্ষ-অনির্বাণ লঞ্চটি সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর দুয়ারাবাজার এলাকায় আসার পর লঞ্চটির দুটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে লঞ্চটি নদীর মাঝখানে আটকা পড়ে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও ৯৯৯ এ ফোন দিয়েও কোনো রেসপন্স পাচ্ছি না। ঝুঁকি নিয়ে সেনাবাহিনীরা আসতেও ভয় পাচ্ছে। আমরা যেখানে আছি তার চারপাশে কেউ নাই। চারদিকে শুধু পানি। আমরা প্রশাসনের কাছে আমাদের উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। সুনামগঞ্জে থাকা সেনাবাহিনীর টিমকে তিনি এ বিষয়ে জানিয়েছেন। সেখানকার সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি এখন জেলা প্রশাসক, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো ৷ তারা অনেক করেছেন আরেকটু সহযোগিতা যেন তারা করেন। আমার শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে থাকে ৷ এছাড়া আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, নিজেদের অবস্থান পু্লিশ প্রশাসনকে বর্ণনা করতে ও নিজেদের মনোবল না হারাতে।