ক্যাম্পাসে ফিরল বন্যায় আটকে থাকা ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী!



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী

ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২১ শিক্ষার্থী। চারদিন আটকে থাকার পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেই ২১ শিক্ষার্থী অবশেষে ফিরে এসেছেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যায় আটকে থাকা ২০১৮-১৯ সেশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ।

সোমবার (২০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের সহপাঠীরা তাদেরকে গ্রহণ করে নেন। তাদের মধ্যে ১৯ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী, বাকি দুজন অন্য বিভাগের।

শোয়াইব আহমেদ বলেন, অবশেষে আমরা ক্যাম্পাসে এসে পোঁছেছি। সবার সহযোগিতায় অনেক বড় বিপদ থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। সবাই সুস্থ ও মানসিকভাবে শক্ত আছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, সাংবাদিকসহ সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন সুনামগঞ্জে ভ্রমণে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। ১৬ জুন সেখানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা শিমুল বাগান থেকে শহরের পানসী রেস্তোরাঁয় পৌঁছান। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১৭ জুন দুপুরে ‘কপোতাক্ষ-অনির্বাণ টুরিস্ট বোট’ নামের একটি নৌযানে করে তাদেরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে সিলেটের উদ্দেশে পাঠায়। রওনা হওয়ার পর ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নৌযানটি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর চরে আটকে যায়।

পরে নৌযানটি ছাতক ফেরি ঘাটে নোঙর করতে সক্ষম হয়। সেখান থেকে রোববার সকালে তাদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর উদ্ধার শেষে বোটে করে দুপুরের দিকে তারা সিলেট ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছান। সেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ছিল। তারপর তাদেরকে সেনাবাহিনীর নিজস্ব মিনি বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।

   

ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দলীয় ট্রেন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে প্রদক্ষিণ করে দলীয় ট্রেন্টে এসে সমবেত হয়ে ছাত্র সমাবেশে যুক্ত হয়। পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, রাকিবুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন হল ও অনুষদ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। ফিলিস্তিনের নারী পুরুষ এবং অবুঝ শিশুদের প্রতি যে জঘন্য নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, আমরা এর প্রতি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, নিপিড়ীত মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নিপিড়ীত, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি মানুষের দাবি আদায়ে, দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর দখলদারিত্ব এবং নির্বিচারে গণহত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইবি শাখা ছাত্রলীগ আজ রাজপথে দাঁড়িয়েছে। এই সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।

 

;

বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপদাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে, গত ২১ এপ্রিল সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

;

ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে ঢাবিতে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দলে দলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হচ্ছেন।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একযোগে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পদযাত্রা ও বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে একত্র হতে দেখা যায়।

এর আগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ আয়োজনের আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতৃদ্বয় ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় সংগঠনটির নেতা কর্মীরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, এ কর্মসূচিতে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ এর আয়োজন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিন থেকে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য অব্দি পদযাত্রায় অংশ নিতে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদেরকেও এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

;

জাবিতে ঝুলন্ত অবস্থায় কর্মচারীর ছেলের মরদেহ উদ্ধার



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ (২৪) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত জিসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনি হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে।

সোমবার (৬ মে) সকাল আনুমানিক ৬টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দিন হলগামী সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। পরে আশুলিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৃতের বড়ভাই ওয়ালি উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে জানান, আমার ভাইয়ের সাথে গতকাল রাত ৮টার দিকেও কথা হয়েছিল। সে আমাকে ফোন দিয়ে আমার কাছে ও পরিবারের সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ও প্রায়ই কোনো বিষয়ে নিয়ে রাগ করলে এমন করতো। গতকাল সন্ধ্যায় ও দেরি করে ঘরে ফেরায় মা ওরে বলছে এতো দেরি করে আসলে গরুর খাবার দিবে কে। এরপরই জিসান কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত,মৃত জিসান পরিবারের সাথে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনের একটা বাসায় থাকতেন। তাদের পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলার সদর থানার চক শারদিতে। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা শেষে তিনি একটি গরুর খামারের দেখাশুনা করতেন। আমারা ধারণা করছি আমার ভাই বৃষ্টির আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার দারোগা আসলাম জানান, জিসানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের মাধ্যমে আশুলিয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

;