ঢাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সেকশন অফিসার পদে রাজধানীর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়াতে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তারা ‘বেস্ট প্রার্থী’কে নিয়োগ দিয়েছেন।

প্রার্থীদের অভিযোগ এ নিয়োগে স্বজনপ্রীতি হয়েছে। যাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তিনি প্রয়াত কবি শামসুর রহমানের নাতনি। কবি শামসুর রহমানের নাতনি হওয়াতে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক প্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ওই নারী শিক্ষার্থীকে নিয়োগের বিষয়টি গত ২৯ জুন সিন্ডিকেট সভায় পাশ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ-ইন্সটিটিউটে কর্মরত ২৫ জন কর্মকর্তা ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রার্থী বলেন, এই পদে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই আবেদন করেছেন। যেহেতু এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্য শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল।

বিজ্ঞাপন

এই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৪৫ জন প্রার্থী ভাইভাতে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে যাদের নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে রেফারেন্স এসেছে তাদেরকে ছাড়া আর কাউকেই স্যারেরা প্রশ্ন করেনি। তাদের সাথে কুশল বিনিময় করে বলেছে, তোমার বয়স আছে এখানে এসেছো কেন? অন্য কোথাও দেখো, বিসিএস দাও। সেখানে এরকম কথা বলার মাধ্যমে বুঝা যায় স্যারদের প্রার্থী ঠিক করা ছিল।

ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক হারুনর রশীদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এস এম বাহালুল মজনু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে সর্ব সম্মতিক্রমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবার ভাইভা নিয়েছি। যার ভাইভা ভালো হয়েছে তাকে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সবচেয়ে বেস্ট ক্যান্ডিডেট যিনি তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর উপরে আর কোন কথা নেই। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ছিল জানালে তিনি বলেন, আমি এই প্রার্থীর চেয়ে ভালো কাউকে পাইনি।