নেতাকর্মীদের মুক্তি-মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বিরুদ্ধে মামলা, হয়রানি বন্ধ ও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। এসময় তারা ছাত্রদলের কারাবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগ থেকে শুরু হয়ে পশ্চিম গেইটে গিয়ে শেষ হয়। পরে বকশিবাজারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ছাত্রদল দেশের তরে সদা জাগ্রত। যেখানেই অন্যায় দেখে সেখানেই প্রতিবাদী ভূমিকায় উপনীত হয়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, হয়রানি করে আমাদেরকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে দূরে সরানো যাবে না। আমরা যেকোনো মূল্যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করব।
সদস্য সচিব মো. আমানউল্লাহ আমান বলেন, সভা-সমাবেশে ছাত্রনেতাদের বক্তব্যের কারণে নতুন করে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছে সেটা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন, এই মামলা স্পষ্ট প্রমাণ করে বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা চূড়ান্ত হুমকির মুখে।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছিরউদ্দীন নাছির, জহিরউদ্দীন আহমেদ, খোরশেদ আলম সোহেল, এইচ এম আবু জাফরসহ আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্যরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই পল্টন মডেল থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অজ্ঞাত নামে আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিনের নামে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার এবং বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উসকানিমূলক বক্তব্য ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগ আনা হয়।