রাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি, মেডিকেল শিক্ষকসহ পাঁচজনকে কারাদণ্ড

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চলমান ভর্তি পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় মেডিকেল শিক্ষকসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী, খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজের এক প্রভাষক ও একজন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করলে ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োজিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ তাদের কারাদণ্ড দেন।

বিজ্ঞাপন

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এখলাছুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান, খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক ডা. সমের রায় এবং ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী এস এম রাহাত আমীন।

এ ঘটনায় জান্নাতুল মেহজাবিনকে দুইবছর, এখলাছুর রহমান, বায়জিদ খান ও ডা. সমের রায়কে ১ বছর এবং ডা. সমেরকে নিজের পরীক্ষার আসনে বসানো শিক্ষার্থী এস এম রাহাত আমীনকে ক্যাম্পাসে পাওয়ার পর আটক করে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত এখলাছুর রহমান ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে রোল ১৭২২৮-এর পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে, জান্নাতুল মেহজাবিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে রোল ৬২৮২৮-এর পরীক্ষার্থী মোছা. ইশরাত জাহান হয়ে, বায়জিদ খান সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনে রোল ৩৯৫৩৪-এর পরীক্ষার্থী তানভির আহমেদ হয়ে এবং ডা. সমীর রায় শেখ রাসেল মডেল স্কুলে রোল ৮৪৬৪৮-এর পরীক্ষার্থী এস এম রাহাত আমীন রিয়াদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এদের মধ্যে এখলাছুর রহমানের বাসা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কুয়াতপুর গ্রামে, বায়জিদের বাসা টাঙ্গাইলের মধুপুরে, জান্নাতুল মেহজাবিনের বাসা পঞ্চগড়ে, ডা. সমের রায়ের বাসা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় এবং এস এম রাহাত আমীনের বাসা নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নওয়াগ্রামে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহ হওয়ায় পাঁচজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজনই ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে। ফলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোন ধরনের জালিয়াতি কিংবা অনৈতিক কাজ করার সুযোগ নেই। এসব দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি জারি রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা টিম ও বিচক্ষণ শিক্ষকগণ। তাই ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পাড় পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। যেই এসমস্ত কাছে জড়িত থাকবে, তাদেরকেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান উপাচার্য।