পদানবতি পাওয়া ঢাবি শিক্ষককে স্বপদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পদানবতি পাওয়া ঢাবি শিক্ষককে স্বপদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত

পদানবতি পাওয়া ঢাবি শিক্ষককে স্বপদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট পেপার নিয়ে সংঘটিত ঘটনায় ব্যর্থতার দায়ে পদাবনতি পায় তৎকালীন হল প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহান। তাকে স্বপদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশীদ খান বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের সময় কুয়েত মৈত্রী হলে সিল দেওয়া বস্তাভর্তি ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওইদিন হলটির একটি কক্ষ থেকে ছাত্রলীগ মনোনীত হল সংসদের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাৎক্ষণিকভাবে শবনম জাহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।

ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ শবনম জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। পরে ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এক বছরের বেশি সময় পর ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২০ সালে এই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত না করে পদাবনতি অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমিত করা হয়।

সিন্ডিকেট সভার এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন শবনম জাহান। সেই রিটের রায়ে শবনম জাহানকে ‘প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধাসহ’ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ ব্যাপারে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশীদ খান বলেন, হাইকোর্টের রায় বিচার বিশ্লেষণ করে সিন্ডিকেটের সব সদস্য একমত হয়ে তাকে স্বপদে পুনর্বহালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।