১৫ আগস্ট স্মরণে ঢাবি সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের আলোচনা সভা

  • আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রলীগের আলোচনা সভা

ছাত্রলীগের আলোচনা সভা

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সকল শহিদ স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা’ সূর্য হলে ‘তোমার স্বপ্নে পথচলি আজো চেতনায় মহীয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা’ সূর্য হল ছাত্রলীগের আয়োজনে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই শোক স্মরণেই মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তারই অংশ হিসেবে পালিত হয় এই আলোচনা সভা।

বিজ্ঞাপন

মাস্টার দা’ সূর্য হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের সঞ্চালনায় ও হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। শুরুতে শোকাবহ আগস্টের কথা স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, জিয়াউর রহমান সেই সময় শিক্ষার্থীদের বই-খাতার পরিবর্তে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। সেই সময় জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আর ছাত্রদলের দখলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কলুষিত করেছিলেন তারা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এমন বর্বরোচিত ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে সেই সময় বের করতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশ নামে একটি দেশ উপহার দিল তাকে বাঁচতে দিল না ঘাতকরা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘৃণ্য ঘটনা হয়তো দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল কিন্তু তারপরেও নানান চড়াই-উৎরাই দেরি হলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, শুধু জিয়াউর রহমান নয়, খন্দকার মোশতাক সময় মত তার কাজ করার জন্য অনেক আগেই আমাদের দলে প্রবেশ করেছিল। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা ছিল ৯৬ সাল পর্যন্ত। এ হত্যার বিচার বাতিলের জন্য ইনডেমনিটি অ্যাক্ট জারি করা হয়। পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে যুদ্ধ অপরাধীর বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে চাওয়াতে ২০০৮ সালে যারা হেসেছিল। তারা সেই হাসার উত্তর পেয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজ, দেরিতে হলেও বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকত, যদি প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বাস্তবায়ন করতে পারত, তাহলে ৮০ দশকেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হত, বলে মনে করেন শেখ ফজলে ফাহিম।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা’ সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, মাস্টার দা’ সূর্য হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহান, সাবেক মাস্টার দা’ সূর্য হল সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন বক্তব্য রাখেন।