খাঁচাবন্দি হয়ে বন্য প্রাণীদের মুক্ত করার দাবি
‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ বনের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে খাঁচায় বন্দি সকল প্রাণীকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে তিন পরিবেশ কর্মী। এর পাশাপাশি দেশে প্রচলিত চিড়িয়াখানার কনসেপ্ট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাস রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে খাঁচায় বন্দী হয়েছেন হোসেন সোহেল নামে এক পরিবেশ কর্মী। হোসেন সোহেলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন আরও দুই যুবক নয়ন সরকার ও রাকিবুল ইসলাম।
খাঁচায় বন্দি থাকা পরিবেশ কর্মী হোসেন সোহেল জানায়, আমি খাঁচা বন্দি হয়েছি নিজেকে যন্ত্রণা দেবার জন্য। খাঁচায় বন্দি প্রাণীরা যেমন খাঁচাতে বন্দি থাকলে যেমনটা কষ্ট পায়। তার নূন্যতম অভিজ্ঞতা নেবার জন্য। বাংলাদেশে খাঁচার মধ্যে প্রাণ-প্রকৃতি বন্দি করে রাখা যাবে না। বনের পশু-পাখি বনেই ছেড়ে দিতে হবে। তাদের কে মুক্ত করতে হবে। দেশে চিড়িয়াখানার যে কনসেপ্ট রয়েছে, সেটি বাতিল করতে হবে।
তিনি আরও জানান, খাঁচার মধ্যে এভাবে পশু-পাখিকে বন্দি করে রাখার মধ্যে নানান ভাবে নির্যাতন করা হয়। অনেক শিশু পশু-পাখিকেও মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে এক বদ্ধ জগতে বন্দি করা হয়। ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ আমার দাবি বনের সৌন্দর্য ফিরেয়ে দেওয়ার জন্য এসব বন্য পশু-পাখিকে বনে ফিরিয়ে দিতে হবে।
হোসেন সোহেলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা নয়ন সরকার জানান, দেশে যেভাবে চিড়িয়াখানা গড়ে উঠেছে, তা বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে যায় না। যেখানে খাঁচায় বন্দি পশু-পাখিরা অস্বাস্থ্যকর খাবার, পরিবেশ ও চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে তাদের ধুঁকে ধুঁকে মারা যাওয়ার খবর প্রায়শ চোখে পড়ে। এখানে বন বিভাগের গাফিলতি বেশ লক্ষ্যণীয়। যেসব সাফারি পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে, সেখানেও বন্য প্রাণীরা নানান অযত্ন ও অবহেলায় জীবন অতিবাহিত করছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের দাবি চিড়িয়াখানাগুলো বন্ধের পাশাপাশি, বন্দি সকল পশু-পাখিকে বনে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিন দিনের এ কর্মসূচির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে হোসেন সোহেলসহ ওই দুই যুবক জনসচেতনতা বাড়াতে চান। এর পাশাপাশি তারা প্রত্যাশা রাখেন এ কর্মসূচির মাধ্যমে হয়তো দেশে প্রচলিত যে চিড়িয়াখানার কনসেপ্ট রয়েছে, সরকার সেটির পরিবর্তনও আনতে পারে।