পরীক্ষার হল থেকে ঢাবিতে অধ্যয়নরত ভুয়া শিক্ষার্থী আটক!

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পরীক্ষার হল থেকে ঢাবিতে অধ্যয়নরত ভুয়া শিক্ষার্থী আটক!

পরীক্ষার হল থেকে ঢাবিতে অধ্যয়নরত ভুয়া শিক্ষার্থী আটক!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী না হয়েও ‘ভুয়া’ পরিচয়ে সাড়ে তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত সাজিদ উল কবির নামে এক যুবককে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আটক হয়েছেন। আটক সাজিদ উল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র বলে পরিচয় দিতেন নিজেকে।

বুধবার (২৪ আগস্ট) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ৩য় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা চলাকালীন সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সে বৈধ কোনো পরিচয় দেখাতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিলেন। ব্যাচের সবাই তাকে (সাজিদ) সহপাঠী ভেবে এসেছেন এত বছর। বুধবার বিভাগের এক শিক্ষকের একটি কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন সন্দেহজনক পরিস্থিতি তৈরি হলে ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী তার ছাত্রত্বের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ওই শিক্ষার্থী একটি রোল নম্বরে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন, যেটি তার নয়। প্রাথমিকভাবে তাকে আমাদের বিভাগের ছাত্র নয় বলে শনাক্ত করেছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের প্রতিনিধিদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদ উল কবির জানায়, সে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে তবে চান্স পায়নি। আদতে সে শিক্ষার্থীই নয়। তার ইচ্ছা ছিল ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার তাই সে বিভিন্ন সময়ে ক্লাস করেছে। তবে সে তিন বছরে তিন মাস ক্লাস করেছে। কোনো ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ইনকোর্স পরীক্ষা দেওয়ার সময় শিক্ষকদের বলত তার রোল আসেনি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী স্বীকার করেছে এবং লিখিত দিয়েছে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও বিভাগের অভিযোগের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।