ঢাবিতে শেষ হল আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলন’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জালাল উদ্দিন রুমি নিঃসন্দেহে স্রষ্টার প্রকৃত প্রেমিক ছিলেন। তিনি ইসলাম ধর্মের চর্চা এবং ধর্মের প্রকৃত সৌন্দর্যের সাধনা করতেন। বিশ্বের সুফি সাধকরা রুমির সাহিত্য ও দর্শন চর্চার মাধ্যমে ধর্মের প্রকৃত মর্মার্থ, মনুষ্যত্ববোধ ও মানবতাবোধ ধারণ, লালন ও চর্চা করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জালাল উদ্দিন রুমির দর্শন ও সাহিত্য কর্ম সবসময় প্রাসঙ্গিক। তাই তাকে আমরা এখনও স্মরণ করি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ও হানাহানি নিরসনে রুমির মানবতাবাদী দর্শন ও সাহিত্য চর্চা আরও বেশি হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহ্বয়ক অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোশ অধ্যাপক ড. অমিত দে, ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এবং আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশের উপদেষ্টা সৈয়দ মাহমুদুল হক বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হকের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ শতবর্ষপূর্তি উপজীব্য করে আল্লামা রুমি সোসাইটির সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সৈয়দ আহমদুল হকের প্রয়াণভূমি চট্টগ্রামের ইন্ডিপেন্ডেন্স ইউনিভার্সিটিতে ‘আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলন’ শেষ হবে। তিনদিনের এই সম্মেলেনে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, তুরস্কসহ ৭টি দেশের ২৪ জন গবেষক ৮টি একাডেমিক সেশনে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।