সিকৃবিতে চায়ের জার্ম প্লাজম স্থাপন



খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সিকৃবি থেকে
সিকৃবিতে চায়ের জার্ম প্লাজম স্থাপন

সিকৃবিতে চায়ের জার্ম প্লাজম স্থাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) টিলাঘেরা সবুজ ক্যাম্পাসে ২ একর জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে চা, কফিসহ বিভিন্ন পানীয় ফসলের জার্ম প্লাজম সেন্টার। পানীয় ফসলের এই বাগানে আরো রয়েছে লেমন ঘ্রাস, তুলসি ও কাজু বাদাম। এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় চায়ের ঔষধি গুণ সর্বজন সমাদৃত। গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম এই অর্থকরী ফসলের চাষ ও গবেষণা চলছে এই জার্ম প্লাজম সেন্টারে। চা গাছের ছায়ার জন্য ব্যবহৃত ছায়াগাছের গোড়ায় গোড়ায় লাগানো হয়েছে গোলমরিচ ও খুলনা অঞ্চলের বিখ্যাত চুই ঝাল গাছ।

জার্ম প্লাজমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৫ মাস খরার সময় বাংলাদেশে চা পাতা তোলা সম্ভব হয় না। তাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চা বাগানে ড্রট টলারেন্ট ভ্যারাইটি বা খরা সহিষ্ণু চায়ের জাত উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে দেশ বিদেশের বিভিন্ন বাগানের সেরা জাতের চায়ের চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেচের পরিমাণ কমিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে চা গাছ টেকানো যায় কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাইট এবং অন্যান্য পোকা চা পাতার কি কি ক্ষতি করছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মাইট ও পোকা সহিষ্ণু চায়ের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দু ধরনের চায়ের চাষ হয়। একটি চীনের চা বা ক্যামেলিয়া সাইনেসিস, অন্যটি আসামের চা বা ক্যামেলিয়া আসামিকা। সিলেট অঞ্চলে আসামিকা চায়ের উৎপাদনই বেশি হয়। আর স্ট্রং মল্ট ফ্লেভার এবং বড় দানার জন্য এর চাহিদাও ব্যাপক। তবে মানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিটি-২ চাই উত্তম। গবেষণায় দেখা গেছে বিটি-২ এ চারার ঘনত্ব বাড়িয়ে দিলে মোট উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। গবেষণার কাজে চা বাগানে ৯ প্রজাতির ভারতীয় টোকলাই প্রজাতির চা গাছ ছাড়াও, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিটি-১ থেকে বিটি-২২ পর্যন্ত ক্লোনগুলো চাষাবাদ হচ্ছে। সাথে রয়েছে ১টি বাইক্লোনাল ভ্যারাইটি ও ৪টি বাংলাদেশী বাগানের ক্লোন।


গবেষণা মাঠের চা গাছে যেমন ঝলমল করছে কচি পাতা তেমনি কফি গাছেও ভরপুর থোকায় থোকায় ফল। কফি অ্যারাবিকা ও কফি রোভাস্টা এই দুই জাতের কফির গবেষণা চলছে এখানে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে কফির চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। চা নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি কফির চাষ ব্যবস্থাপনা, জাত নির্বাচনের তারতম্যে কফি উৎপাদনে কী প্রভাব পড়ছে সেটি নিয়ে চলছে গবেষণা। এছাড়াও ফল সংগ্রহের সময় এবং বেকিং টাইম কম বেশি করে কফির উৎপাদন ও মান বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা চলছে। এছাড়া ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং পাহাড়ি অঞ্চলের তিন ধরনের কাজু বাদামের জাত নিয়ে চলছে গবেষণা।

ক্যাম্পাসের এই গবেষণা প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে এনএটিপির প্রজেক্ট ছিল। বর্তমানে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এখন একটি জার্মপ্লাজম সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ড. ইসলাম বলেন, পাট শিল্প, চিনি শিল্প ইতোমধ্য নিঃশেষ হয়ে গেছে, চা শিল্পের বিরুদ্ধেও ষরযন্ত্র চলছে। গ্রাম থেকে শহর আবালবৃদ্ধবনিতার প্রিয় পানীয় চা। বাংলাদেশে দিনদিন এর চাহিদা বেড়েছে কিন্তু উৎপাদন সে অনুপাতে বাড়েনি। চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকারকে ২০১৫ সাল থেকে বাইরের দেশ থেকে চা আমদানী করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজারে ভালো মানের গ্রীন টি প্রতি কেজি ২৫০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি হলেও সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে এই জার্ম প্লাজম সেন্টার থেকে উৎকৃষ্ট মানের গ্রীন টি প্রতি কেজি ১২০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হবে।

   

শ্রেণীকক্ষের দাবিতে ইবির শিক্ষক লাউঞ্জে তালা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইবির শিক্ষক লাউঞ্জে তালা

ইবির শিক্ষক লাউঞ্জে তালা

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মেরেছে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেন শিক্ষার্থীরা।

শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনে প্রশাসন বরাবর একাধিকবার অনুরোধ করে আশানুরূপ ফল না পেয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে লাউঞ্জে তালা মারে শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে তালা ভাঙতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে প্রক্টর। দ্রুত শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসন না হলে শিক্ষক লাউঞ্জ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।

ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শ্রেণীকক্ষ সংকট দীর্ঘদিন ধরে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে দুই এক বছরের সেশনজটে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এক দফা এক দাবি করে শ্রেণীকক্ষ সংকট অতি দ্রুত নিরসন করতে চাচ্ছে। তা নাহলে শিক্ষক লাউঞ্জ খুলতে দিবে না তারা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সেশনজটের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকব আর শিক্ষকরা নিশ্চিন্তে থাকবে এটা কীভাবে হয়? প্রশাসনের কাছে বারবার শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনের দাবি নিয়ে গিয়েছে তারপরেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না । তিনি বলেন আরো বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার গিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু সমাধান করে দেয়নি। গত কয়েকদিন ধরে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে বারবার যাচ্ছি। আজ যখন শিক্ষক লাউঞ্জে তালা মারা হয়েছে, তখন চারদিকে এতো সংবাদ ছড়াচ্ছে কেন? 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হেসেন আজাদ বলেন, আজ দুপুরে জানতে পারলাম শিক্ষক লাউঞ্জে নাকি শিক্ষার্থীরা তালা মেরেছে। পরে ঘটনা পরিদর্শন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ওই তালা ভাঙার সময় শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন কাজ চলমান, খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থাকলে প্রশাসনের কাছে যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষকদের খাবার লাউঞ্জে এভাবে তালা মারা এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক বলে মনে করে না।

এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির সামনে প্রতিবাদ করে, শেষ পর্যন্ত প্রোক্টরিয়াল বডি অনুষদ ভবন থেকে চলে আসে।

;

ঢাবিতে ২ দিনব্যাপী পর্যটন মেলা 



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
ঢাবিতে ২দিনব্যাপী পর্যটন মেলা 

ঢাবিতে ২দিনব্যাপী পর্যটন মেলা 

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শুরু হতে যাচ্ছে দুইদিনব্যাপী পর্যটন মেলা। কক্সবাজার স্টুডেন্ট ফোরাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিস্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৪ এবং ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ডাচ চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। 

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে মেলা উপলক্ষে আয়োজকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কক্সবাজার স্টুডেন্ট ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাইমুন ইসলাম বাপ্পি।

সম্মেলনে বাপ্পি বলেন, ‘মেলায় হোটেল, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর এবং কক্সবাজারের ঐতিহ্যেবাহী পণ্যের ১৪ টি স্টল থাকবে। মেলা শুরু হবে সকাল ১০ টা এবং শেষ হবে রাত ৮ টায়। এছাড়া মেলা চলাকালীন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের জন্য তাদের সেবা এবং পণ্যের উপর ১৫-৫০% ছাড় প্রদান করবে।’

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। মেলায় টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে Travelplz।  প্রায় ২০ হাজার পর্যটক, দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গন মুখরিত রাখবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার স্টুডেন্টস ফোরাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুল রহমান রাসেল, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি মো:আশরাফুল ইসলাম নাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ, ট্যুর অপারেটর গ্রুপ অব কক্সবাজার (ট্যুয়াক) এর সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির পাশা এবং পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক তওহিদুল ইসলাম তোহা।

এই আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে সাইমুন ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘প্রতিবছর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে কক্সবাজারে একটি পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়। আমরা চাচ্ছি আমাদের পর্যটন নগরীর কক্সবাজারের ঐতিহ্য তুলে ধরতে, ব্র্যান্ডিং করতে। সেই লক্ষ্যে ঢাকায় আমাদের এই আয়োজন।’ 

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরের পর্যটন ও পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তোহা বলেন, ‘আমরা কক্সবাজারের পর্যটনকে প্রমোট করার জন্য সারা বাংলাদেশে কাজ করি। আমাদের অনেকগুলো কার্যক্রম আছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে কক্সবাজারের পর্যটনকে বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া। তার জন্য ট্যুরের সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেয়া, সকলকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া। এগুলো আমাদের কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য। এরই অংশ হিসেবে এই আয়োজন।’ 

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল কমিটির সদস্য নুরুল কবির পাশা বলেন, ‘যারা আমাদের কক্সাবাজার যাবে তাদের জন্য আমার হোটেল ৫০ শতাংশ ও রেস্টুরেন্টে ২০শতাংশ ছাড় দিবো। এর পাশাপাশি আমি সকল কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিককে মূল্য ছাড় দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

;

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার



রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ১৯তম সভায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম ও রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তারকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে, ঘটনার আট মাস পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর চিঠিটি পাঠানো হলেও বিষয়টি গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ পেয়েছে।

চিঠিতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ এনে চলতি বছরের সব পরীক্ষা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের কথা উল্লেখ করে।

এ বিষয়ে সানজিদা আক্তার বলেন, ‘মানসিক হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেনস্তা ও যৌন নির্যাতনের মামলা থেকে বাঁচতে নকলের অভিযোগে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু যখন ঘটনা ঘটেছিল তখন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এক বছর পর এসে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমি অভিযোগ করার পর আমার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে ওই শিক্ষককে রক্ষা করতে।’

চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার (শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-২০১৮) ৪র্থ বর্ষ স্নাতক (সম্মান) চুড়ান্ত পরীক্ষা ২০২১-২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নকল করার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলতি বছরের সব পরীক্ষা বাতিল করে তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কারের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি পরবর্তী ৪র্থ বর্ষের সঙ্গে পুনঃভর্তি পূর্বক শ্রেণি কার্যক্রম ও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।

জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন বরাবর চিঠি দেন সানজিদা আক্তার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি পিংকি রানী দে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুব্রত ভৌমিকের কাছেও অভিযোগ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব। পরে এ ঘটনার দ্রুত সমাধান চেয়ে গত ২৩ আগস্ট উপাচার্য বরাবর আরেকটি চিঠি দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি পিংকি রানী বলেন, ‘সানজিদা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছে। সেগুলো আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি তদন্ত করে গত (৩০ জুলাই) উপাচার্য বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছি। তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়নি। যে কারণে সিন্ডিকেট সভায় ওই শিক্ষককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সানজিদা আক্তারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানি ও শ্রেণি কক্ষে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা তদন্তে প্রমাণিত হয়নি।’

;

যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ, ৮ ঢাবি শিক্ষার্থী আহত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঢাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ফুটপাতের দোকানদারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাবির অমর একুশে হলের রোবটিকস অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান আলিফ, ফার্মেসি বিভাগের বায়োজিদ, নাসিফ, ইতিহাস বিভাগের আজিম মাহমুদ তৌহিদসহ সিফাতুল ইসলাম, আজহা, মাহিন ও জুনায়েদ। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আট জনের মধ্যে আলিফের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া বাকি ৭ জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে।

এ বিষয়ে মাহফুজুর রহমান আলিফ বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে ধানমন্ডি এলাকার উমুক্ত মঞ্চ রবীন্দ্র সরোবরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এক পর্যায়ে একটি জায়গায় বসে ‘উনো’ খেলা শুরু করেন। এসময় স্থানীয় দোকানদাররা তাদের মেয়ে সহপাঠীদের নিয়ে অত্যন্ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং তাদের জেরা করেন। যা এক পর্যায়ে যৌন হয়রানিতে রূপ নেয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকানদারদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়, যা পের হাতাহাতিতে গড়ায় বলে দাবি আলিফের।

ফুটপাথের দোকানদাররাও তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মাকসুদুর রহমান জানান, দুই পক্ষের কথা শুনে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তাই নেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আটজনের মধ্যে আলিফের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। এছাড়া বাকি সাতজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। ঘটনাটি ধানমন্ডি থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

প্রাথমিকভাবে ধানমন্ডি থানার পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

;