জাবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে চার শিক্ষার্থীকে শোকজ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের গণরুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে চার শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
বেগম সুফিয়া কামাল হলের ১ম বর্ষের (৫০ তম ব্যাচ) ছাত্রীদের ২৯ আগস্ট করা এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৭ আগস্ট বেগম সুফিয়া কামাল হলের ৪৯তম ব্যাচের কয়েকজন ছাত্রী রাত ১১টায় গণরুমে এসে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন ভাষায় কথা বলেন ও তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মানসিক নির্যাতন করেন। পরদিন তাদের অনেকের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা আছে বলা সত্ত্বেও রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত তাদের র্যাগ দেওয়া হয়। এছাড়া ৪৯তম ব্যাচ (২য় বর্ষ) ব্যতীত অন্য কোনো সিনিয়র শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথাবার্তা না বলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে ঘটনার সঙ্গে মুখ্যভাবে যুক্ত হিসেবে ৪৯তম ব্যাচের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের আশা, পরিসংখ্যান বিভাগের লাভলী, দর্শন বিভাগের রিফা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শাহরিন সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় ।
র্যাগিংয়ের সময় অভিযুক্তরা প্রশাসনের কাছে এগুলো বলে কিছুই হবে না, আমরাই প্রশাসন চালাই বলে ভুক্তভোগীদের হুমকি দেয় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে আইআইটি ৩য় বর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) সাবরিনা সিদ্দিকী অদিতি গণরুমে যেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের বিষয়টা বাইরে না জানানোর পুনরায় হুমকি দিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে।
র্যাগিংয়ের বিষয়ে অভিযুক্ত ৪৯তম ব্যাচের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের আশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আর এটার জবাবদিহিতা আপনার কাছে করতে বাধ্য নয়। এ ব্যাপারে প্রশাসন কথা বলবে। এরপর আপনি নিউজ করার থাকলে কইরেন।
দর্শন বিভাগের রিফার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এরকম কিছুই করিনি এবং সম্পৃক্ত নই। আমাকে মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। আপনি তদন্ত কমিটির কোন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য বেগম সুফিয়া কামাল হলের হাউজ টিউটর সহকারী অধ্যাপক তাজউদ্দীন বলেন, তদন্ত চলমান আছে। কিছু প্রক্রিয়াগত সমস্যা রয়েছে যার কারণে দেরি হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে শিগগিরই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ না হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,যেদিন মিটিংয়ে বসার কথা ছিল ওই দিন আমাদের দুইজন সহকর্মী ব্যস্ত থাকায় মিটিংটা হয়নি।