অগ্রগতির সোপান ধরে চলেছে লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজ
তাঁরা সবাই কর্মজীবনের নানা পর্যায়ে শিক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগতভাবে যুক্ত ছিলেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে। মিলিটারি একাডেমি, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং বহু নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদেও আসীন ছিলেন।
অবসর গ্রহণের পর শিক্ষাক্ষেত্র ছেড়ে থাকতে পারেন নি তাঁরা। সামাজিক আমন্ত্রণ ও চাহিদা এবং নিজের মনের তাগিদে আত্মনিয়োগ করেছেন শিক্ষা বিস্তারে। প্রতিষ্ঠা করেছেন চট্টগ্রাম লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজ।
চটগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন বালুছড়া এলাকায় 'ভালো মানুষ গড়া'র প্রত্যয়ে লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠার পরই সবার নজরে আসে। করোনার আগে আগে শুরু হলেও থেমে থাকেনি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ। মহামারির মধ্যেই শত শত শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত শিক্ষালয়।
স্বাস্থ্যবিধি ও শিক্ষাক্রমের ভারসাম্য লিডার্স'কে অনন্যতা দিয়েছে। 'ভালো মানুষ গড়া'র মাধ্যম 'ভালো ছাত্র' উপহার দেওয়ার মিশনে যুক্ত হয়েছেন নানা শ্রেণি ও পেশার অভিভাবকগণ। চমৎকার কাঠামো ও ব্যবস্থাপনায় লিডার্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া (অব.), সভাপতি কর্নেল মোহাম্মদ কাশেম (অব.) এবং অধ্যক্ষ কর্নেল আবু নাসের মো. তোহা (অব.)। এই তিন স্বপ্নদ্রষ্টার প্রচেষ্টা আর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রগতির সোপান ধরে চলেছে লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজ।
তিনজনেই শিক্ষা অন্তঃপ্রাণ মানুষ। জীবনভর শিক্ষা নিয়েই কাটিয়েছেন। অবসরজীবনে একটি আদর্শ-স্থানীয়-মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্নে বিভোর তাঁরা। ফলে শিক্ষানীতি, শিক্ষাকৌশল, শিক্ষাকার্যক্রম, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই আলাদা বৈশিষ্ট্য স্থাপন করেছে লিডার্স। নৈতিকতা ও শিক্ষার মেলবন্ধনে গড়ে তুলেছে তপোবন-সদৃশ্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বিদ্যা নিকেতন।
লিডার্সের শিক্ষার্থীরা একটি নিবিড় শিক্ষা পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নততর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও শিক্ষাজীবনের পথে এগিয়ে যেতে নিত্য প্রণোদনা লাভ করে। বিদ্যালয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা নীতি, নৈতিকতা, শিক্ষা, পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রশিক্ষিত হয়।
গতানুগতিক শিক্ষার চেয়ে আলাদা লিডার্স দান, দয়া ও মানবিকতার প্রেরণা দেয় শিক্ষার্থীদের। সালাম দেওয়া ও কুশল বিনিয়ম প্রতিষ্ঠানের আবশ্যিকভাবে চর্চা করা হয়। কৃতজ্ঞতা জানাতে 'ধন্যবাদ' আর ভুল করলে 'সরি' বলতে শেখানো হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের মধ্যে সেতুবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি, সন্ত্রাস, মাদক, মিথ্যা, প্রবঞ্চনার পথ থেকে দূরে রাখা হয়।
লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল আবু নাসের মো. তোহা (অব.) বার্তা২৪.কম'কে বলেন, 'আমরা ভালো মানুষ ও ভালো ছাত্র তৈরির বিষয়ে সমভাবে গুরুত্বারোপ করি। কারণ, একটি ছাড়া আরেকটি অসম্পূর্ণ। ভালো মানুষ ও ভালো ছাত্র হলে শিক্ষার্থী আত্মস্বার্থপরায়ন হবে না। নিজের, পরিবারের, সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে। সে ভবিষ্যতে বোঝা না হয়ে প্রকৃত মানবসম্পদ হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।'