চবির ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর)। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে নানা আয়োজন হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানসূচি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

তিনি জানান, এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় কেক কাটা হবে। এবং সাড়ে ১০টায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্তী ড. হাসান মাহমুদ। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করবেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিণ আক্তার।

বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে মঞ্চ মাতাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় ব্যান্ডদল।

৫৬ বছর শেষে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিণ আক্তার বলেন, চবির সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আধুনিক উন্নত জ্ঞান সৃজনের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বে পরিচিত করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান।

আশ্বাসে অনশন ভাঙল কুবির শিক্ষার্থীরা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশ্বাসে অনশন ভাঙল কুবির শিক্ষার্থীরা

আশ্বাসে অনশন ভাঙল কুবির শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসনের আশ্বাসে সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির চার নেতা।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান নেতাকর্মীদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনশনকারী সালমান চৌধুরী বলেন, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে আমাদের দাবি দাওয়া তারা পূরণ করবে। সেই কারণেই আমরা অনশন ভেঙেছি। আমাদের দুই জনের (এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী) ওপর যে বহিষ্কার আদেশ ছিলো সেটা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আমরা এখন ক্লাস পরীক্ষা দিতে পারবো। তবে আমরা সেদিনই সন্তুষ্ট হবো যেদিন আমাদের পাঁচ দফা দাবির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তারা যদি আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে আমি নিজেই পদত্যাগ করবো। তাদের যে দাবি দাওয়া ছিলো সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে বাস্তবায়ন করা হবে। এখন থেকে হলে সন্ধ্যাকালীন কোর্সের কেউ থাকতে পারবে না।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, এখন থেকে ক্যাম্পাসে অছাত্র কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সকলকেই আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। দুজন শিক্ষার্থীকে যে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করে সিন্ডিকেটে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া প্রক্টরের বিরুদ্ধে যে মৌখিক অভিযোগ এনেছিলো তারা সে ব্যাপারে যদি কোন প্রমাণ নিয়ে আসে তাহলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

এর আগে, গত ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এক মসজিদের সামনে মারধরের শিকার হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও একই হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেড় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন মারধরের বিচারের দাবিতে। এরপর গত ৯ মার্চ ও ১৪ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে ছয়দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে একই দিন বিকাল চারটায় অনশনে বসে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচি পালন করে। পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- প্রক্টরের পদত্যাগ, হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পরামর্শক নিয়োগ করতে হবে। একই সঙ্গে অছাত্র, বহিরাগত ও একাধিক মামলার আসামিদের হলে ওঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর (এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী) সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান।

;

জবি এবং ইবি থাকছে গুচ্ছ ভর্তির আওতায়



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির আওতায় থাকছে জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের মতো এবারও দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা এবং এবারের গুচ্ছ ভর্তি যেন অনন্য হয় সে বিষয়ে আয়োজকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, গুচ্ছভুক্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

;

স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা এবং ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে 'নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দ'র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, গত ১১ তারিখ কালো একটি দিন। যেদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ জীবনে আমি কখনো দেখিনি এতগুলো শিক্ষার্থী একসঙ্গে রক্তাক্ত হয়েছে। এতো বড় একটি ঘটনা কেন ঘটল, ঘটনার সাথে কারা সম্পৃৃক্ত, কাদের গাফিলতি ছিল এবং পুলিশ কেন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালাল। এই বিষয়টিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই ঘটনার একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিৎ। যারা দোষী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। আমরা দেখেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাদের সমস্ত শরীরে গুলির চিহ্ন লেগে আছে। প্রশাসন কেন সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কেন বিষয়টি এত ঘোলাটে আকার ধারণ করল। এভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত হোক আগামী দিনগুলোতে আমরা সেই প্রত্যাশা করিনা। শিক্ষক হিসেবে আমি চাই শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ এবং লেখাপড়ার একটি সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকুক। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করা হোক।

বিশিষ্ট গবেষক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এই ক্যাম্পাসে যা ঘঠেছে তা আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে বিচলিত করছে। যখন কোন ঘটনা ঘটে সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সে উত্তেজনায় আমরা অনেক ধরনের উগ্র কর্মকাণ্ড চালাই। তারপর ঠান্ডা পানির মতো আমরাও শীতল হয়ে যাই এবং অদূর ভবিষ্যতে আবার একটি ঘটনা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। পুনরায় সেই ঘটনা ঘটলে আমরা আবার তীব্র উত্তেজনা প্রদর্শন করবো এবং খুব শীঘ্র সে উত্তেজনাও প্রশমিত হবে। কিন্তু তার ভেতরে বহু ছাত্র-ছাত্রী আহত হবে, বহু রকমের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটবে এবং আমরা আবার আরেকটা ঘটনার জন্য অপেক্ষা করবো। এটাই স্বাভাবিকভাবে চলে আসছে এবং আমরা ভাবি পরবর্তীতে যখন ঘটবে তখন ব্যবস্থা নেব।

বিষয়টি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে শিক্ষা থাকলে এই মানসিকতা তৈরি হওয়ার কোন সুযোগ ছিলোনা। যারাই আহত হয়েছে সেটা শিক্ষার্থী হোক বা বহিরাগত হোক সবার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দেওয়া ছয় দফা দাবিও উপস্থাপন করে সেগুলো মেনে সে অনুযায়ী কাজ করার জোর দাবি জানান।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর এবং আহ্বায়ক আমানুল্লাহ খান আমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

নিরাপত্তা কৌশল শিখলেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রশিক্ষণে উপস্থিত থেকে উৎসাহ যুগিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার, ক্রিকেটার জাহানার আলম। মঙ্গলবার ও বুধবার (১৪ ও ১৫ মার্চ, ২০২৩) রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) ৫০ জন করে নারী শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বাংলাদেশের খালেদ মোশাররফ ট্রাস্ট ও ভারতের ইন্দ্রানি বালান ফাউন্ডেশন ।

ইউল্যাবে ‘নির্ভয়: নারী নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক এ কর্মসূচিশেষে আজ মঙ্গলবার অংশগ্রহণকারীদেরকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদেরকে আরও সাহসী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

প্রশিক্ষণে মানবদেহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা কৌশল শেখানো হয়। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে বডি টুলস, বডি কন্ডিশনিং, স্ট্রাইকিং, কিকবক্সিং কম্বিনেশনস। এছাড়া প্রতিদিন সঙ্গে রাখা প্রয়োজন এমন বস্তু এবং নিজের আশপাশ দেখে কী ধরণের প্রস্তুতি নিতে হবে সেগুলো সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়।


সাবেক সংসদ সদস্য ও খালেদ মোশাররফ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাহজাবিন খালেদের সঞ্চালনায় সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত এখিম ট্রস্টার (Mr. Achim Troster); ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, মেজর জেনারেল তাওহীদ রহমান বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, এমডিএস, এমএসসি, এমপিসিএইচআরএস, এলএলবি (আর), জিবিআই সভাপতি, এলএলসি; বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি (অভ্যন্তরীণ বিষয়ক) মাহফুজা লিজা বিপিএম, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার, বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম।

সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরে এতো মিথ্যাচার করা হয়েছে যে দুটি প্রজন্মকে মিথ্যা শিক্ষা দিয়ে বড় করা হয়েছে। সত্যিকার ইতিহাস শিখে বড় রাখতে হবে। নইলে যাই করি না কেন সব কিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ ভোটার নারী। নারীরা এখন সবক্ষেত্রে ভালো করছে। আগামী প্রজন্মকে আরও সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত এখিম ট্রস্টার বলেন, পশ্চিমা দেশগুলিতে, আমাদের এখনও একটি ঐতিহ্যগত পারিবারিক প্রথা চালু আছে। এখন জার্মানিতে একজন নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও একজন নারী উন্নয়নমন্ত্রী রয়েছেন। দুই সাপ্তাহ আগে আমরা নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য একটি নতুন ধারণা নারী পররাষ্ট্রনীতি এবং নারী উন্নয়ন নীতি তৈরি করেছি আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে সেখানকার সমস্ত মহিলা নিরাপদ।

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “আমি এমন দেশের নাগরিক হতে চাই না যে দেশে আমাকে নিরাপত্তার জন্য কৌশল শিখতে হবে এবং তা প্রয়োগও করতে হবে। এমন দেশের নাগরিক হয়ে আমি লজ্জিত। কারণ রাষ্ট্রকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিরাপত্তা দিতে হবে।‘

সাবেক সংসদ সদস্য মাহজাবীন খালেদ জানান প্রথম পর্যায়ে যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তাদের মধ্য থেকে বাঁচাই করে কয়েকজনকে ভারতে উন্নত প্রশিক্ষণে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। যাতে তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও একই প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। আমরা আমাদের কাজকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।

;