শিল্পী শাহাবুদ্দিনকে নিয়ে রাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিল্পী শাহাবুদ্দিনকে নিয়ে রাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

শিল্পী শাহাবুদ্দিনকে নিয়ে রাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

  • Font increase
  • Font Decrease

চিত্রশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবনে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

আলোকচিত্রশিল্পী ইফতেখার ওয়াহিদ ইফতি আয়োজিত এই প্রদর্শনী আগামী বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীটিতে স্থান পেয়েছে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের বিভিন্ন সময়ের অর্ধশত আলোকচিত্র।

পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধনীর পূর্বে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণের মুক্তমঞ্চে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এছাড়া আলোচনা সভার মধ্যমনী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

সভায় শিল্পী শাহাবুদ্দিন বলেন, নবীন চিত্রশিল্পীদের ছবি আঁকা শেখার জন্য ভালো শিল্পী বাছাই করতে হবে। আর এজন্য সাধনাও করতে হবে। অনেকে শিল্প নিয়ে সুন্দর কথা বলতে পারলেও ভালো কাজ করতে পারে না। একেকজন একেক ক্ষেত্রে দক্ষ। এজন্য আমি যতবার শিল্পকর্ম নিয়ে বলতে যাচ্ছি, ততবারই পিছিয়ে যাচ্ছি, যেন আমি কিছুই জানি না। আমি মেঘনার তীরে বেড়ে ওঠা মানুষ। এজন্য আমার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বা ছবিতে পানি পানি ভাব আছে, আর রক্তের ভাব আছে। কারণ রক্ত না থাকলে তো যে কেউ মৃত।

রাজশাহীতে গ্যালারি স্থাপনের বিষয়ে শিল্পী বলেন, রাজশাহীতে একটা গ্যালারি নেই এটা কথা হলো! আমি আশা রাখি আগামী জুন, জুলাই বা আগস্টের মাঝে একটি গ্যালারি করবেন আপনারা।

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পী শাহাবুদ্দিনের উপস্থিতি আমাদের ঋগ্ধ করেছে। ১৯৭০ সালে যখন দুর্বোধ্য চিত্রকলার একটা জগৎ সৃষ্টি হয়েছিল, তার সঙ্গে কিন্তু শিল্পী শাহাবুদ্দিন গাট ছাড়া বাঁধেননি। উনি নিজের একটি চিত্রজগৎ সৃষ্টি করেছেন। তার জীবনটিই এক বিশাল ক্যানভাস। এসময় তিনি রাজশাহীতে রাসিক মেয়রের পক্ষ থেকে শিল্পী শাহাবুদ্দিনের নামে নির্মাণ করতে যাওয়া গ্যালারিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এমন মাপের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিকে রাজশাহী এনে সংবর্ধনা দিতে পারলাম। আমি গত শুক্রবার নগরভবনে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেছি যে রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিনের নামে একটি আর্ট গ্যালারি করা হবে। রাবি উপাচার্য যেহেতু বলেছেন ক্যাম্পাসে এই গ্যালারি নির্মাণ করলে চারুকলার শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু প্রচুর জায়গা, তারা যদি একটি সুন্দর জায়গা নির্ধারণ করে দেন তাহলে আগামী তিনমাসের মধ্যে এখানেই গ্যালারির ভিত্তি প্রস্তর নির্মাণ করা হবে।

চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম মুন্না ও ইশরাত মেহেজাবীন হৃদির যৌথ সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি ও রাবির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম, বিশেষ আলোচকের বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার এবং আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতাংকা দেবদীপ দত্ত। এছাড়া আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইন্ট্রা-রেড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আইআরসি) ও শিলালিপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম সুমন।

পহেলা বৈশাখে মুখোশ-ব্যাগ বহন করা যাবে না



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলা নববর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে অপরাহ্ণ ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধু নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন। সর্বসাধারণের চলাচলে এই সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে।

নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সম্মুখে ছবির হাটের গেট, বাংলা একাডেমির সম্মুখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেট ও বাংলা একাডেমির সম্মুখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ব্যবহার করা যাবে।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশপাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।

সভায় নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সভায় উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

সভায় কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে দুটি উপকমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- শৃঙ্খলা উপকমিটি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটি। ১২ সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খান।

;

ঢাবির ছাত্রীদের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিচয় শনাক্তে সব ছাত্রীদের কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া বাংলা বিভাগের এই নোটিশ কেন অবৈধ হবে না সে মর্মে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

এদিকে এ বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঢাবির বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নোটিশ আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীদের পক্ষে রিট দায়ের করা এ আইনজীবী জানান, কান ও মুখ খোলা রাখার বাধ্যবাধকতা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি। রিটে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, বালা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ নোটিশ যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

;

রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি, হল গেটে তালা



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি

রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবিতে আন্দোলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় হলের শিক্ষাথীরা এই আন্দোলন শুরু করলে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতে যোগ দিয়ে হল গেটে তালা দেয়। এসময় হলের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য বেশকিছু দাবিও জানায় তারা।

দাবিগুলো হলো- ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি করা, হলে ইফতারের ব্যবস্থা করা, ওয়াইফাইয়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা, মশা নিধনে ব্যবস্থা গ্রহণ, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ্যের অসহযোগীতামূলক আচরণের কারণ বর্ণনা, রিডিং রুমের পরিসর বাড়ানো, জিমনেশিয়াম চালু করা, গোসল খানায় ঝুড়ির ব্যবস্থা করা, টয়লেটে বদনার ব্যবস্থা করা, গেইমস রুম ও বিতর্ক পাঠশালা অন্যত্র স্থানান্তর করা, প্রত্যেক তলায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা ও নিয়মিত পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা দুপুরে হঠাৎ স্লোগান দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলামসহ আরও কিছু নেতাকর্মী তাদের সাথে যোগ দিয়ে হল গেটে তালা দেয়। এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা 'আমার খাবার গেলো কই, প্রশাসন জবাব চাই, 'আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে, মানতে হবে' বলে স্লোগান দিতে থাকে।

পরবর্তীতে হল প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম হলের সাধারণ শিক্ষার্থী, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মী এবং ডাইনিং ও ক্যান্টিন কর্মচারীদের নিয়ে আলোচনায় বসে।

জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, হলের বিভিন্ন সমস্যাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের দাবিগুলোর যৌক্তিক মনে করে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করেছি।

হল প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করেছে সেটার ব্যাপারে আমরা প্রাধ্যক্ষ পরিষদ আগামী ২৭ তারিখ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া হলের ডাইনিং এবং ক্যান্টিনের কর্মচারীদের ডেকে খাবারের মান বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে ৩৫ টাকায় ডাইনিং এ খাবার দেওয়া হবে। এতে আগের থেকে ভালো খাবার খেতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ক্যান্টিনেও আগের থেকে উন্নতমানের খাবার খেতে পারবে।

;

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক আবাসিক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম আপরশি মারমা (২১)। সে সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিল এবং তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবান জেলায়। পার্শ্ববর্তী আবদুস সালাম হলের ২১২ নম্বর রুমের বসবাস করত।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে, গতকাল সোমবার রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল আবাসিক হলের ছাদে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, রাত ১১টার দিকে মারমার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেওয় হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সে হলে রাতের খাবার খেতে যায়। সেখানে বন্ধুবান্ধব ও বড় ভাইদের সাথে তাকে হাসিখুশি দেখা যায়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে এ ঘটনায় আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;