প্রক্সি জালিয়াতি মামলায় রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক গ্রেফতার



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি জালিয়াতির মামলায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম শান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে রাজশাহীর কাটাখালি এলাকা থেকে আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে মতিহার থানা পুলিশ।

বুধবার (৩১ মে) দুপুর পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্যটি জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের তথ্যমতে হাসিবুল ইসলাম শান্তকে গতকাল রাজশাহীর কাটাখালি এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর পর তার মোবাইল থেকে জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাবি ও জগন্নাথ (গুচ্ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষারসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার বিপুলসংখ্যক প্রবেশপত্র পাওয়া গেছে। তার বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের তথ্যমতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বাদি হয়ে হাসিবুল ইসলাম শান্তের বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

   

কুবিতে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) খেলোয়াড়দের জন্য নির্মিত স্পোর্টস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় বিকাল ৪ টায় ফিতা কেটে স্পোর্টস কমপ্লেক্সটির উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নির্মাণে বাজেট ছিলো এক কোটি টাকা। তবে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রায় ৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত থেকে গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, স্পোর্টস কমপ্লেক্সটি নির্মাণে হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্দেশ্য হলো আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ভলিবল, ক্রিকেট, ফুটল, হকি টিমের খেলোয়াড়রা কথা দিয়েছে তারা শিরোপা জয় করার চেষ্টা করবে। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জন্য মূল যে বাজেট ছিলো তা থেকে কিছু টাকা বাড়তি থেকে গেছে।

শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুবিধার জন্য ভলিবল মাঠ, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গ্যালারি তৈরীর পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।

স্পোর্টস কমপ্লেক্স উদ্বোধন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মুশফিকুর রহিম খান বলেন, স্পোর্টস কমপ্লেক্স উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন মাত্রা সংযোজন হয়েছে। এখন থেকে খেলোয়াড়দের ড্রেস চেঞ্জ, নিরাপদ পানি পান করতে সুবিধা হবে। আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেকোনো ফুটবল, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে।

;

'পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে ঢাবি'



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান পরিবেশবান্ধব পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত পৃথক পৃথক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে উপাচার্য এই আহ্বান জানান। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'পর্যটন ও সবুজ বিনিয়োগ'।

দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে দিনব্যাপী 'ন্যাশনাল গ্রীন ট্যুরিজম ফেস্ট'-এর আয়োজন করে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কেটে এই ফেস্ট-এর উদ্বোধন করেন। র‍্যালি, মেলা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেস কম্পিটিশন, সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই ফেস্ট। 

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেবের সভাপতিত্বে ফেস্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দা রুবিনা আক্তার, এমপি সম্মানিত অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শরিফুল আলম খন্দকার এবং কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশিউল হক চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পর্যটন খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (ডিইউপিএস) এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি (ডিইউটিএস) যৌথভাবে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও র‍্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় ডিইউটিএস-এর মডারেটর অধ্যাপক ড. ইসভিয়ার এম সৈয়দ, সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম নাহিন, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম জীম, ডিইউপিএস-এর সভাপতি মোঃ আসিফ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক তামজিদ আহমেদ নিঝুমসহ সংগঠনগুলোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে নানাধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রাণিজগৎ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের মাধ্যমে পর্যটন স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব জ্বালানী ব্যবহার ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে গবেষণার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এ সময়, দেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে টেকসই পর্যটন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দেবেন বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

;

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন শনিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

'বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ' এর দ্বিতীয় সমাবর্তন আগামী শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই দিন ৪ হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হবে। 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস. রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব। 

লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য জানান, এবারের সমাবর্তনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের বি.বি.এ প্রোগ্রামের অধীনে ২ হাজার ৭৬ জন, এম.বি.এ প্রোগ্রামে ৮৩৭ জন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে বি.এস.সি ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ৩৫৫ জন, বি.ফার্ম অনার্স প্রোগ্রামের অধীনে ২৩৩ জন, আইন, কলা এবং সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বি.এ. অনার্স ইন ইংলিশ প্রোগ্রামে ২৯৩ জন, ব্যাচেলর অব ল প্রোগ্রামে ৬৮৯ জন এবং এম.এ. ইন ইংলিশ প্রোগ্রামে ১০৭ জনকে সনদ প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, যে সকল শিক্ষার্থী অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর রেখেছে তাদের মধ্যে ৫ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, ৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ৬ জনকে চেয়ারম্যান গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমিরেটাস, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং বিজিসি ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৩টি ব্যাচে মোট ১২,৬৮০ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে তাদের গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ১ম সমাবর্তনে ৭,৩৭৭ জনকে গ্রাজুয়েশন সনদ প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. সরওয়ার উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এস.এম. শোয়েব, মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ পাঠক, মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব ও জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসির সিলমীসহ মিডিয়া কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

 

;

জবির হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের আসন বরাদ্দে আইনি নোটিশ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের আসন বরাদ্দ না দেওয়ার প্রশাসনের নির্দেশনা প্রত্যাহার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সোলায়মান (তুষার) জবি প্রশাসনকে নোটিশটি পাঠিয়েছেন। নোটিশের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও হল প্রভোস্টকে পাঠানো হয়।

নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি, বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীরা আবাসিক সিট পাবে না বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ‘আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলী এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১’ এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীরা আবাসিক সিট পাবে না। বিধায় তারা অতিদ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবে। অন্যথায়, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এই বিধানের ফলে কার্যত বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীরা হলের আবাসিক সুবিধা গ্রহণ করে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে ছাত্রীদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বৈষম্যমূলক বিধান থাকার বিষয়টি প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং ২৮ (১) (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবেন।’ বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের জন্য এমন নিয়ম নারীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথে অন্তরায় এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

তিনি আরও বলেন, নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক বিধানটি বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবো।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী জানান, এটা অনাবাসিক হল,কোনো হল টিউটর এর থাকার জায়গাও নেই। হলের আসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে সমান অধিকার বজায় রাখা যায়না। এটা আমাদের একমাত্র হল। একাধিক হল থাকলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেত। অনেক মেয়ে আছে আর্থিকভাবে অসচ্ছল। অনেকে থাকতে পারেনা ঢাকায় এত খরচের মধ্য, কান্নাকাটি করে। এদের কষ্ট কে দেখবে?

তিনি আরোও বলেন, বিবাহিত মেয়েরা তো একটা ভালো চাকরি থাকা স্বামীর কাছে থাকতে পারে সুন্দরভাবে,কিংবা তাদের স্বামী খরচ চালিয়ে নিতে পারে কিন্তু একজন বাবা একটা মেয়েকে অভাবের মধ্যে চালানো খুব কষ্ট। আর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হলে দেখার মতো হলে কোনো মেডিকেল সেন্টার নেই। এতে তারই বিপথ হতে পারে।

হল ছাড়ার জন্য সময়ের দরকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা তো বলেছি সময় দিব৷ এক দুই মাস লাগলেও সমস্যা নেই সময় নিয়েই তারা হল ছাড়ুক।

;