প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বপ্ন ভঙ্গ সারা মনির
প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার শিক্ষার্থী সারা মনির। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন বাস্তব হতে যাচ্ছিলো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তুমুল বৃষ্টিতে আটকে গিয়ে আটকে যায় সারার স্বপ্নও।
সারা মনি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরিক্ষায় ১৭ হাজার ৮৪২তম মেধাস্থান নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চান্স পেয়েছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগে। গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে ফি প্রদানও করেছিলেন। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,গত ১১ আগস্ট শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ছিলো ভর্তি হওয়ার জন্য সকল প্রকার কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সময়মত এসে কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় ভর্তি হতে পারেনি তিনি । এরপর শনিবার (১২ আগস্ট) এসে যোগাযোগ করলে তার ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়।
এই ব্যাপারে সারা মনি বলেন, বন্যায় আমাদের ঘরবাড়িতে পানি উঠে যায়। রাস্তাঘাট সব পানিতে তলিয়ে যায়। গাড়ি চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। আমার কুমিল্লা গিয়ে কাগজপত্র জমা দেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। আমার অন্য কোনো ভার্সিটিতে চান্স হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমি কুবিতে ভর্তি হতে পারলাম না। আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। আমাকে বিশেষ বিবেচনায় একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ড. মাহমুদুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিএসটির নিয়ম হচ্ছে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাগজপত্র জমা নেওয়া। শিক্ষার্থী অথবা অভিভাবক যে কেউ এসে মার্কশিট জমা দিলেই এক্ষেত্রে হয়ে যায়। সে আমাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করে নাই তবুও আমরা তার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু সে নির্দিষ্ট সময়ে আসতে পারে নাই। যেহেতু সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার কাগজপত্র জমা দেয় নাই সেহেতু জিএসটি থেকেই তার ডাটাটা অটো ডিলিট হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।
এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, এই ব্যাপারে আমরা জিএসটির সঙ্গে কথা বলবো।
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জলবদ্ধতা তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায়। বৃষ্টির পানি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে এই চার জেলার অধিকাংশ রাস্তাঘাট পুরোপুরি বন্ধ ছিল বেশ কয়েকদিন।