'পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে ঢাবি'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান পরিবেশবান্ধব পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত পৃথক পৃথক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে উপাচার্য এই আহ্বান জানান। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'পর্যটন ও সবুজ বিনিয়োগ'।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে দিনব্যাপী 'ন্যাশনাল গ্রীন ট্যুরিজম ফেস্ট'-এর আয়োজন করে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কেটে এই ফেস্ট-এর উদ্বোধন করেন। র্যালি, মেলা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেস কম্পিটিশন, সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই ফেস্ট।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেবের সভাপতিত্বে ফেস্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দা রুবিনা আক্তার, এমপি সম্মানিত অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শরিফুল আলম খন্দকার এবং কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশিউল হক চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পর্যটন খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (ডিইউপিএস) এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি (ডিইউটিএস) যৌথভাবে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় ডিইউটিএস-এর মডারেটর অধ্যাপক ড. ইসভিয়ার এম সৈয়দ, সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম নাহিন, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম জীম, ডিইউপিএস-এর সভাপতি মোঃ আসিফ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক তামজিদ আহমেদ নিঝুমসহ সংগঠনগুলোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে নানাধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রাণিজগৎ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের মাধ্যমে পর্যটন স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব জ্বালানী ব্যবহার ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে গবেষণার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এ সময়, দেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে টেকসই পর্যটন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দেবেন বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।