জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

  • সাগর হোসেন, জবি করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংহতির ধারক-বাহক পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠা একসময়ের পাঠশালাটি আজ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকায় পূর্ববঙ্গ ব্রাহ্মসমাজের শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রাহ্ম স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮ পেরিয়ে ১৯তম বছরে পদার্পণ করছে। গত ১৮ বছরে ক্যাম্পাসের নানা ধরনের সংকট সীমাবদ্ধতা থাকার পরও দেশের উচ্চশিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে ঘিরে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাদের অনুভূতি ও প্রত্যাশার কথা।

বিজ্ঞাপন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য অর্জনের জায়গা। তেমনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনের অনেক প্রাপ্তির সহযোগী। প্রতিষ্ঠানটির গড়ে উঠার পিছনে রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দেশের উল্লেখযোগ্য অনেক আন্দোলন সংগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির হাজারো শিক্ষার্থী অবদান রাখে। বলা যায় বাঙালি জাতীয়বাদের বিকাশে এর অবদান অতুলনীয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়। আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে ছোট হলেও বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজার,গবেষণা এবং বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। আমার চাওয়া অতীতের মতো গুণীজন তৈরিতে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবে পুরান ঢাকার জগাবাবুর পাঠশালা তথা বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সকল সংকট, সীমাবদ্ধতাকে পিছনে ফেলে দেশের গন্ডি পেরিয়ে সুনাম অর্জন করবে বিশ্বব্যাপী।

বিজ্ঞাপন

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌরী তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ২০ অক্টোবরকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সাড়ে সাত একরের এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কেই ঘিরেই প্রায় ২১ হাজার শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। এ যেনো এক শিক্ষার্থীর মেলবন্ধন। অল্প কয়েকদিনের মাধ্যমেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তির অর্জনের খাতা অনেক। শিক্ষা, সাংস্কৃতি,ক্রীড়া, গবেষণায় সব দিক দিয়েই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান ভালো। প্রতিটা উৎসব আসলেই সকল শিক্ষার্থীরা একত্রে মেতে উঠে। সকলে মিলেমিশে প্রতিটা সাফল্যকে আরো গৌরবময় করে তুলে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে সামনে রেখে একটাই আকাঙ্খা, ইচ্ছে এবং আশা প্রাণের বিদ্যাপীঠ যেনো শিক্ষা, সাংস্কৃতিক সকল দিক দিয়ে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে পদাপর্ণ করে।

হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রিফাত বলেন, স্কুল জীবন থেকে স্বপ্ন ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। অবশেষে সুযোগও হলো। ক্যাম্পাসে আসলাম কয়েকমাস হলো, এই স্বল্প সময়ে ক্যাম্পাসের প্রতিটা ধূলিকণার সঙ্গে কতটা মায়া জড়িয়ে গেছে তা প্রকাশ করার মত না। সেই প্রাণের জবি ১৮ পেরিয়ে ১৯-এ পর্দাপণ করলো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনায় যথেষ্ট এগিয়ে থাকলেও হল এবং শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে এই পুরান ঢাকায় অনেক সমস্যা মোকাবিলা করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে, আশা করি খুব শিগগিরিই এগুলো মোকাবিলা করে আমরা দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবো।