ছাত্রলীগ ভয়ের রাজনীতি প্রর্দশন করতে চায় না: সাদ্দাম হোসেন
আমরা এদেশে ভয়ের রাজনীতি প্রর্দশন করতে চাই না। বাহুবলের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই না। সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে এবং একটি সুন্দর প্রগতিশীল প্রজন্ম গড়ার লক্ষে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে ভূমিকা রাখতে চাই বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) দীর্ঘ ৬ বছর পর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টিএসসি কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে বিকাল ৩.০০ টায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. হাসিনা খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া, সাবেক উপার্চায অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, উদ্ভোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
সভাপতি সাদ্দাম হোসেন উদ্ভোধক হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় সংগঠন। আমাদের ছাত্র সংগঠন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত মানসিকতা ধারণকারী সবথেকে সেরা সংগঠন। আমরা চাই আমাদের ছাত্রদেরকে উন্নত চিন্তা, মানের উন্নতিসহ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে। আমরা আমাদের ছেলেদের মানোন্নয়ন করে আন্তর্জাতিকভাবে সফল হওয়ার মত উপযুক্ত করে তৈরি করতে চাই। আমরা আমাদের দেশকে আরো অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে চাই এবং এক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে, ছাত্রলীগের ছেলেদেরকে আরো উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছাত্র রাজনীতি করার ক্ষেত্রে যেসকল সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।আমাদেরকে শিক্ষাগতভাবে আরো উন্নত এবং উপযুক্ত হতে হবে। এজন্য আমরা আমাদের সম্মেলনগুলোতে শিক্ষাবিদদের অতিথি হিসেবে রাখতে চেষ্টা করছি, যাতে আমরা শিখতে পারি তাদের থেকে, বুঝতে পারি কীভাবে নিজেদেরকে আরো স্মার্ট ভাবে গড়ে তুলতে পারি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ছাত্রলীগ নেতাদেরকেই নিতে হবে। আমরা যেন সময়ের সাথে এগিয়ে চলা সব থেকে প্রগতিশীল সংগঠন হিসেবে সবসময় নিজেদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশ যখন উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে সেখানে কিছু অপশক্তি আমাদের এ অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে দেশ ও বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। তবে আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে কোনো অপশক্তির স্থান হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে রুখে দিতে হবে সকল অপশক্তিকে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, কৃষি গবেষণায় আমাদেরকে জোর দিতে হবে। আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে কৃষি গবেষণার বিকল্প নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে সবসময় কৃষিকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। আপনাদেরকে আমাদের দেশের কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের নেত্রী কৃষি উন্নয়নের সনদ হিসেবে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রনোদনা, এআইপি চালুকরণসহ বিভিন্ন নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে যেসকল অপশক্তি আজ এই উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না, দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদেরকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিহত করতে হবে।