চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও পরীক্ষা কমিটি বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়েছে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়াহ আখতার , উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম এবং সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিন্ডিকেট সভায় দুইটি সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটি বাতিল এবং তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে ৭ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় একটি কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে জরুরী সিন্ডেকেট সভা আহ্বান করে ইতিমধ্যে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, সদস্য আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে একটি উড়োচিঠি আসে। এই চিঠিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সব কোর্সের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভাগে আসেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিতের সুপারিশ করেন উপাচার্য।
চিঠিতে বলা হয়, একজন শিক্ষক তাঁর অনুগত শিক্ষার্থীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করছেন। এতে আজ অনুষ্ঠিতব্য প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।
পরে এই প্রশ্নপত্র নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলাউদ্দিন মজুমদার ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আসেন। পরে আজকের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে গতকাল চিঠিতে দেওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পান। এরপর উপাচার্য পরীক্ষা স্থগিত করার আদেশ দেন।