শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হবে: ভিসি 

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী অপশক্তি প্রতিহত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'তরুণ ও যুবসমাজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়ের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। যারা আজও এ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যহত করতে তৎপর রয়েছে তাদের সকল অপচেষ্টা মোকাবিলা করে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হবে।' 

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য ভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য বর্ণাঢ্য এই র‍্যালির উদ্বোধন করেন। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে র‍্যালিটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, 'স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তি আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ত্যাগের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল এবং দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মাধ্যমে দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারই নিরলস প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টাকে সফল করতে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে।' বিজয়ের মাসে এই প্রত্যয় গ্রহণ করার জন্য উপাচার্য শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বিজয় র‍্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়।