শিক্ষক নিয়োগ স্থগিতে চবিতে ইউজিসির চিঠি

  • চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংবিধি যথাযথ না মেনে বাংলা ও আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় নিয়োগ স্থগিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (সংবিধি-৯) যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম (বাংলা ও আইন বিভাগসহ) যেসব বিভাগে শুরু করা হয়েছে, সেসব বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের চলমান কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করার অনুরোধ করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি-৯-এ বলা হয়েছে, কোনো বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে প্রথমে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সভায় তা অনুমোদন করতে হয়। সভায় অনুমোদিত হলে তা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠাবেন বিভাগের সভাপতি। পরে রেজিস্ট্রার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপাচার্যের সম্মতি নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। পরে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা আবেদনপত্র সংগ্রহ করে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রেরণ করবেন।

বিজ্ঞাপন

দুই বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গত ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগ ও ১৮ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগ বোর্ড ডাকা হয়। ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। কিন্তু সেখানে কোনো সুরাহা না হলে উপাচার্য ও উপ উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির আন্দোলনের মুখে বাংলা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেন উপাচার্য।

এর আগে দুই বিভাগের ‘পরিকল্পনা কমিটি’ শিক্ষক প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে সিদ্ধান্ত দিলেও তা উপেক্ষা করে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি বাংলা বিভাগে সাত পদে শিক্ষক নিয়োগ এবং ২৩ মার্চ আইন বিভাগের দুই পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের লঙ্ঘন বলে অবহিত করেন শিক্ষক সমিতি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদের কাছে জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।