চবিতে ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের ট্রেইনিং ওয়ার্কশপ। বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ডিড প্রজেক্টের অধিনে এই ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই প্রজেক্ট এর অধীনে বর্তমানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস স্টার্ট আপ এ শিক্ষার্থীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য প্রোগ্রামটি আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সকাল সাড়ে ৯ টায় ট্রেইনিং ওয়ার্কশপটি শুরু হয়। ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের আজকের ট্রেনিং এ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং এটির উপস্থাপিত সুযোগের ব্যবহার করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ওয়ার্কশপে মেন্টর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রভা হেলথ এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার হুমায়রা মমতাজ এবং এমজিএইচ গ্রুপের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সাফায়েত আহমেদ। ওয়ার্কশপের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রভা হেলথের চিফ স্ট্রাটেজি এবং প্রোডাক্ট অফিসার মোহাম্মদ আবদুল মতিন ইমনের ইনোভেশন ইন প্র‍্যাকটিসের উপর বিস্তৃত সেশন। ওয়ার্কশপে আগত শিক্ষার্থীরা বিজনেস নিয়ে তাদের নতুন নতুন ধারণা ট্রেইনারদের সাথে আলোচনা করেন। এছাড়াও ওয়ার্কশপে একট প্রশ্ন-উত্তর সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কোর্ডিনেটর মো: লতিফুল শাবীর বলেন, ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০০ শিক্ষার্থীকে স্টার্ট আপ এর জন্য যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এটি কোনো গতানুগতিক সেশন নয় বরং মেন্টরিং ও প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে স্টার্ট আপ পলিসি শিক্ষা দিয়ে থাকি। আজকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কম্পিটিশন এর মাধ্যমে আমরা সেরা আইডিয়া দাতাদের পুরষ্কৃত করবো এবং তাদের সিড ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে৷

   

মায়ের কোলে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এলেন মীম



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জন্ম থেকেই হাঁটতে পারেননা মীম। হাতের সমস্যা থাকার কারণে ধীরে ধীরে লিখতে হয়। মায়ের কোলে উঠেই শিক্ষাজীবনের দুই তৃতীয়াংশ পারি দিয়েছেন তিনি। এবার গুচ্ছ ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা দিতেও ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে মায়ের কোলে চড়ে এসেছেন তিনি।

মীমের পুরো নাম মাহফুজা আক্তার মীম। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশায়। দুই ভাইবোনের সংসারে বড় মেয়ে মীম। তার বাবার নাম মঞ্জু হোসেন পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রী মায়ের নাম সাহেরা বেগম।

শুক্রবার (৩ মে ) গুচ্ছভুক্ত 'বি' ইউনিটের পরীক্ষায় মায়ের কোলে উঠে পরীক্ষার অংশ নিতে আসে মীম। বাহাদুরপুর পন্ডিত কাজী আবুল হোসেন কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। মায়ের অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মীমকে কেউ থামাতে পারেননি। ছোটবেলায় স্কুলে ভর্তি হতে গিয়ে শিকার হতে হয়েছে নানা বাঁধার। তবে নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখে স্কুল কলেজ জয় করে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়ার অপেক্ষা।

পরীক্ষা শেষে কথা হয় মীমের সাথে। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা ভালো হয়েছে। জন্মগতভাবে আমি শারীরিক অসুস্থ, আমার লেখাপড়ার পুরোটা সময়ই আম্মু পাশে ছিলো, আমার এ পর্যন্ত শিক্ষাজীবন আম্মুর কোলে বসেই। ছোটোবেলায় আমি যখন স্কুলে ভর্তি হতে যাই সাধারণ বাচ্চাদের মতো আমাকে ভর্তি নিতে চায়নি। স্কুল থেকে বলা হয়েছিলো আমি হয়তো পড়তে পারবেনা অন্য বাচ্চাদের সমস্যা হবে। আম্মুর অনুরোধে শিক্ষকরা আমাকে ভর্তি নেয়। ভর্তি নিলেও আমার রোল নির্ধারণ হয় সবার পরে। পরবর্তীতে বার্ষিক পরীক্ষার পর যখন আমি ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করি তখন শিক্ষকরা আমাকে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। এরপর থেকে নিজের চেষ্টায় ভালো ফলাফল ধরে রেখেছি। আজ জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিয়েছি। প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ ছিলো, আম্মুর স্বপ্নই আমার স্বপ্ন।

মীমের মা সাহেরা বেগম বলেন, কোন মা যেন তার সন্তানকে না বলে যে আমার সন্তান পড়তে চায় না। সকল পিতা মাতার উদ্দেশ্যে আমার একটাই উক্তি চেষ্টা করবেন, আমি আমার অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে এতো দূর আসতে পারলে আপনি আপনার সুস্থ সন্তানকে নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবেন। শিক্ষা ছাড়া কোনো উপায় নেই, আমি বিশ্বাস করি আমার মেয়ে যদি শিক্ষিত হয় আমি মারা গেলে আমার মেয়ে তার বাবার বোঝা হবেনা। সেজন্য আমি এতদূর তাকে এনেছি।

তার মা আরও বলেন, ওর জন্মের পর থেকেই ওর বাবা আমাকে সাপোর্ট করেছে। আমার আরেকটা ছোট ছেলে রয়েছে। তবে আমার স্বপ্ন আমার বড় মেয়ে মীমকে ঘিরেই। আমি চাই আমার মেয়ে একটা সরকারি চাকরি করুক, সমাজের বোঝা না হোক।

;

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯৩ শতাংশ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমন্বিত গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিজ্ঞান ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ সম্মান প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৭৮১ জন পরীক্ষার্থী। যা মোট আবেদনকারীর ৯৩.৫৮ শতাংশ।

শুক্রবার (৩ মে) পরীক্ষা শেষে ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুপুর ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত (এক ঘণ্টা) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি একাডেমিক ভবনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার ইবি কেন্দ্রে পছন্দক্রম দিয়েছিলেন ৭ হাজার ২৪৬ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৬ হাজার ৭৮১ জন।

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও সমস্যা মনে হয়নি। শিক্ষকরা সবাই আন্তরিক ছিলেন। উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও রোভার স্কাউটস গ্রুপের সদস্যরা। নিরাপত্তার স্বার্থে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিয়োজিত ছিলেন। যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে মনিটরিংয়ে ছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবং অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের জন্য মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা ছিল।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের হেল্প ডেস্ক ও অভিভাবক কর্নার ছিল। যেখান থেকে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছেন।

;

ভর্তিচ্ছুদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো জবি ছাত্রদল



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের ফলের শুভেচ্ছা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জবি শাখা ছাত্রদলের সহ সভাপতি শামিম হোসেন, রুবেল মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন সর্দার, জাফর আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ( যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন, সহ সাংগঠনিক মাসফিক রাইয়ানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

;

তীব্র দাবদাহে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপাখিদের জন্য 'বিহঙ্গের জল'



গণ বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট, সাভার
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র দাবদাহে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো পশুপাখিদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, পশুপাখিদের জন্য 'বিহঙ্গের জল'!

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গবিসাসের সভাপতি আখলাক ই রাসূলের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদামতলা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়।

এরপর বাদামতলা, আমতলা, তালতলা, ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ডসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গাছে প্লাস্টিকের বোতল ঝুলিয়ে এবং মাটির হাড়ি স্থাপন করে পাখি, কুকুর, বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা করে গবিসাস।

পশুপাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় গবিসাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, সাংবাদিক মাত্রই যে মানবিক, তা গবিসাসের এই উদ্যোগ থেকেই বোঝা যায়। বিরূপ আবহাওয়ায় প্রাণীকুলের জন্য পানির ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানাই।

'বিহঙ্গের জল' কর্মসূচিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি- বার্তা২৪.কম

গবিসাসের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, বিগত কয়েকদিনের দাবদাহে ও তাপপ্রবাহে জনজীবনের সঙ্গে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুলও। এর পাশাপাশি পানি সংকটও লক্ষণীয়। তীব্র গরমে ক্যাম্পাসের কুকুর, বিড়াল ও পাখিদের পানির পিপাসা মেটাতেই এবং ফেলনা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের প্রচেষ্টায় গাছে গাছে মাটির হাড়ি এবং পানির বোতল কেটে ঝোলানো হয়েছে।

এসময় উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক এ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। পরবর্তীতে এই ধারা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন তারা।

পানির সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত রোজ পাত্রগুলোতে পানির ব্যবস্থা করা হবে বলে নিশ্চিত করেন গবিসাসের সদস্যরা।

কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবিসাসের সদস্যরা।

 

;