জাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, গণরুম সংস্কৃতি বিলুপ্তরণ ও নিপীড়ক শিক্ষক জনির বিচার নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ও সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

নবীন শিক্ষার্থীরা ধর্ষক প্রশাসনের কাছে আসুক তা আমরা চাই না মন্তব্য করে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে অন্যদিকে ক্যাম্পাসে প্রহসনের চলছে। প্রশাসন এখনো সাবেক শিক্ষার্থীদের বের করতে পারে নাই। প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে যেন ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। প্রশাসন বলেছিল পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে সকল অছাত্রদের বের করে দিবে কিন্তু তারা বের করতে পারেনি। প্রশাসন গুটি কয়েক অছাত্রদের বের করে দিয়ে দেখাচ্ছে যে আমরা তো অছাত্রকে বের করে দিচ্ছি। সামনে ভর্তি পরীক্ষা আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে ক্যাম্পাস প্রবেশ করুক। আমাদের যে আন্দোলন এ আন্দোলন চলবে।

ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাইলে এবং সবার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে চাইলে প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগ অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা ইতোপূর্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছি। কিন্তু প্রশাসন সে দাবি মানেনি। সারাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ঢাবি, চবিতে কত ভালোভাবে নিপীড়কদের বিচার হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথাও নিরাপদ পরিবেশ নেই।

বিজ্ঞাপন

সিন্ডিকেটে দৃশ্যমান অগগ্রতি দেখা না গেলে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে যার সম্পূর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে তার কোনটাই পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষক সমিতির সভায়ও এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোনো শিক্ষকেরই মতের ভিন্নতা ছিল না।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।