আবারও ঢাবি অধ্যাপক জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানের কাছে অভিযোগপত্র দেন অভিযোগকারী নারী শিক্ষার্থী।

জানা যায়, অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ‘অতিথি শিক্ষক’ হিসেবে রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কোর্স পড়িয়েছিলেন। সেখানকার এক সাবেক নারী শিক্ষার্থী এ অভিযোগ এনেছেন।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে দিনের পর দিন যৌনতা সম্পর্কিত অশ্লীল কথোপকথন করেন। কথা বলতে না চাইলে শ্রেণিকক্ষে মানসিক নিপীড়ন, ধর্মচর্চা, পোশাক ও গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ এনেছেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অধ্যাপক নাদির জুনাইদ একজন ‘মানসিক বিকারগ্রস্থ’ ও ‘সিরিয়াল হ্যারাসার’। ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, তিনি নিজেই অন্তত আরও তিনজন শিক্ষার্থীর কথা জানেন, যাদের অধ্যাপক নাদির জুনাইদ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং একইভাবে প্রতারণা করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঘটনার বিবরণে অভিযোগপত্রে বলেন, আমি ক্লাসের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হওয়ায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হত। প্রথমত উনি নিয়মিত আমাকে ফোন দিতেন। কিন্তু সমস্যা হলো উনি ব্যক্তিগত অনেক তথ্য জিজ্ঞেস করতেন। আমাকে এমনও জিজ্ঞেস করেছেন, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কি না। এসব নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে চাইতেন।’

তিনি আরও বলেন, উনি আমাকে যখন এইভাবে ফোন বা ভিডিও কল দিতেন, আমি খুবই বিব্রত হতাম। আমি প্রায়ই ওনার ফোন না ধরার চেষ্টা করতাম, কিন্তু সেটার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পরবর্তী ক্লাসে দেখা যেত। ফোন না ধরায় আমাকে ক্লাসে নানাভাবে হেনস্তা করতে চাইতেন। ক্লাসে এভাবে হেনস্তার পর উনি আবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।’

তিনি অভিযোগ করেন, অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে ওনার ফোন এবং ভিডিও কল রিসিভ করতাম। তখন ভিডিও কলে বলতেন, একটু তোমার চেহারাটা দেখি, তোমার চুলটা একটু দেখি, তোমার জুম পিক দেখি। আমার কয়েকবার মনে হয়েছে, তিনি হস্তমৈথুন করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগপত্রে আরও লেখেন, উনি আমাকে শারীরিক স্পর্শ বা সেরকম কিছু করেননি। কিন্তু বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে দীর্ঘদিন কথোপকথন চালিয়ে গেছেন। উনি প্রায় অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন। নানান রকম যৌন উত্তেজনামূলক কথা আমার সঙ্গে বলতে চাইতেন। সবসময় অন্তরঙ্গ কথা বলার প্রতি ওনার বিশেষ আগ্রহ থাকতো। আমার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা নিয়ে তিনি আমাকে প্রশ্ন করতেন। আমার পোশাক নিয়েও অযাচিত মন্তব্য করতেন। বলতেন, আমি কেন ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরি না। কেন বাংলাদেশের মেয়েদের পোশাক এত বাজে?’

অভিযোগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, নানারকম অশ্লীল কথাবার্তা তিনি গল্প আকারে বলতেন। যেমন কোনো সিনেমায় নায়ক নায়িকা কীভাবে অন্তরঙ্গ হলো, নায়ক নায়িকার সঙ্গে কী কী করল, এসব উনি খুব আগ্রহ নিয়ে আমাকে শোনাতেন এবং নানাভাবে বোঝাতেন যে উনি এইসব করতে চান। আমাকে বলতেন, ‘ধর না, আমরাও এমন করছি’। এসব ঘটনায় মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে তাকে সাইকোলজিস্টের কাছে যেতে হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, অধ্যাপক নাদির জুনাইদ শুরুতে যারা 'ভালনারেবল' মেয়ে, অর্থাৎ দেখতে সুন্দর, কিন্তু জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনিরাপত্তায় ভোগে বা দ্বিধান্বিত, তাদের টার্গেট করেন। এক পর্যায়ে নানান ছলছুতোয় তাদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে তোলেন এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। সুযোগ বুঝে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু এটা শুধুই একটা ফাঁদ। কেননা উনি একজন অধ্যাপক, আর্থিক নিরাপত্তা অত্যন্ত সুদৃঢ়, দেখতে সুদর্শন; স্বাভাবিকভাবে মেয়েরা তার দিকে আকৃষ্ট হয়। এটাকে ব্যবহার করেই তিনি সবার সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলেন যেখান থেকে তিনি বাচিক ও মানসিকভাবে যৌনসুখ লাভ করতে পারবেন।

ভুক্তভোগী লেখেন, ‘ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের আড়ালে পুরো ব্যাপারটা তিনি এমনভাবে মঞ্চস্থ করেন, যেন তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না থাকে, তাকে দোষী বানানো না যায়। এটি প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার্থীদের তিনি তার বাড়িতেও নিমন্ত্রণ জানান বলে দাবি করেন অভিযোগকারী শিক্ষার্থী।

প্রসঙ্গত, এর আগেও ঢাবির দুই শিক্ষার্থী অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ এর বিরুদ্ধে যৌন ও মানসিক নিপীড়ন এর লিখিত অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে তার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বয়কট ও আন্দোলন করায় তাকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

   

অবন্তিকার আত্মহত্যা: জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রক্টর দ্বীন ইসলাম



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রক্টর দ্বীন ইসলাম

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রক্টর দ্বীন ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান দ্বীন ইসলাম। তবে মামলায় অপর আসামি অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান কারাগারে রয়েছেন।

কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে আজ দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরের পর আমরা কোর্টের অর্ডার হাতে পাই। এরপরই তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। কারামুক্তির পর পরিবারের সদস্যরা তাকে জেলগেট থেকে গ্রহণ করে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ রাতে জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় অবন্তিকার মায়ের দায়ের করা মামলায় জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম এবং অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে আটক করে পুলিশ। পরে সহকারী প্রক্টর থেকে দ্বীন ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় জবি প্রশাসন।

;

রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে: ঢাবি উপাচার্য



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্ম, চিন্তা-ভাবনা, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা, গল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তির গান গেয়েছেন। তাঁরা উভয়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ, উগ্রজাতীয়তাবাদ পরিহার এবং আত্মশুদ্ধির পন্থা অবলম্বন করেছেন।

বুধবার (৮ মে) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে 'সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু' প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়াও আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন আন্দোলন- সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।

মানুষকে ভালোবেসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন, ঠিক তেমনি নিজের জন্য খোঁড়া কবরের সামনে দাড়িয়ে পাকিস্তানি শাসকদের সাথে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তির ব্যাপারে আপোস করেননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এভাবেই বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন ও চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা ও সাহিত্য কর্মে সমাজের নানা অসংগতি, কুসংস্কার, বৈষম্য, মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন।

বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ উভয়ই উগ্রজাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিলেন। তাঁরা উভয়ই বিশ্বাস করতেন উগ্র জাতীয়তাবাদ সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করে। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সকলের সামনে সবসময় তুলে ধরতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক মূল প্রবন্ধে বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় ও কর্মে অনেক মিল ছিল। বাঙালির ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে আত্মশক্তি অর্জনে উভয়ই সোচ্চার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্যজীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত।

প্রসঙ্গত, আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

;

কুবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরী সিন্ডিকেট সভায় 'মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে' বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের 'অবৈধ' সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তীতে পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (৮ মে) বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এর আগে সাড়ে ১১টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনতিবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া বলেন, 'উপাচার্য স্যার বলেছেন হলসমূহে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র এবং টাকা ঢুকেছে। আমি বলতে চাই, হলগুলোতে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারের অভাব। শিক্ষার্থীরা কী অবস্থায় আছে আপনি একটিবারের জন্য খবর নিয়ে দেখেছেন? আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, যেভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে হল এবং ক্যাম্পাস বন্ধ করেছেন ঠিক একইরূপ ভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে আমাদের হল এবং ক্যাম্পাস চালু করতে হবে। আমাদের দাবি যদি পূরণ না করা হয়, আমরা আরও কঠোর থেকে কঠোরতর হতে বাধ্য হব।'

এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আমার অর্জন, আমি নিজের যোগ্যতায় এখানে থাকতে এসেছি। মাননীয় উপাচার্য যে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এর আগেও করোনার কারণে একটা সেশন জটে পরেছি আরেকটা সেশনজটে পরতে চাই না। আমরা চাই শীঘ্রই যেন এই সমস্যার সমাধান হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীর নামে যে অপবাদ দিয়েছেন সেটার জন্য উপাচার্যকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।'

উল্লেখ্য, গত ৫ মে (রোববার) আবাসিক হল নিয়ে 'উস্কানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবি করেছিলেন তারা।

;

ঢাবিতে শুরু হচ্ছে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'কোড সামুরাই-২০২৪' শীর্ষক এক আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। আগামী ১০-১১ মে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে নির্বাচিত দেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়রনত সিএসই শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ৪৬টি দল অংশ নেবে।

বুধবার (৮ মে) ঢাবির সিএসই বিভাগ মিলনায়তনে হ্যাকাথন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ, বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি) এবং গ্লোবালগিক্স (Globalgeeks) যৌথভাবে এ হ্যাকাথনের আয়োজন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোড-সামুরাই হ্যাকাথন ২০২৪-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং বিভাগীয় অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, হ্যাকাথন এক ধরনের প্রায়োগিক সমস্যা সমাধানের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। হ্যাকাথনে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের বৈশ্বিক কিংবা স্থানীয় সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান বের করার সুযোগ পায়। আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও মানুষের জীবনধারার উন্নতিতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখছে হ্যাকাথন। ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবোটিক্স-এগুলো এখন প্রযুক্তিনির্ভর সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, কোড সামুরাই হ্যাকাথনের লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীদের আসন্ন শিল্প বিপ্লবের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তাদেরকে প্রস্তুত করা, যাতে তারা সমাজ ও অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ আয়োজন তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

১০ মে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মিলনায়তনে হ্যাকাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. লুৎফর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। উদ্বোধনের পর দুপুর ১১টায় সিএসই বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবরেটরীতে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও বিভাগীয় সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। টানা ২৪ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন পরের দিন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সম্মানিত ডিন ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।

শনিবার বিকাল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে হ্যাকাথনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা প্রধান মি. ইচিগুচি তোমোহিদে, JETRO বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়ুজি আন্দো, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, এনবিপি, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডীন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় সেরা পারফরম্যান্সকারী দলগুলোর জন্য ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের পুরস্কার জিতে নেওয়ার আকর্ষণীয় সুযোগ রয়েছে। অংশগ্রহণকারী বাকিদের জন্যও থাকছে বিশেষ স্বীকৃতি। পাশাপাশি জাপানে ইন্টার্নশিপ এবং মর্যাদাপূর্ণ আইটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য প্রতিযোগীরা।

প্রসঙ্গত, প্রতিযোগিতার গত দুইবারের বিজয়ীরা জাপানে ইন্টার্নশিপ করার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করার সুযোগের পাশাপাশি জাপানের সংস্কৃতির সাথের পরিচয় হতে পেরেছে। এছাড়া বিজয়ীরা বর্তমানে দেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখছে।

;