‘শুভ জন্মদিন হে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’



রুদ্র আজাদ, জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজ বৃক্ষ, বহমান লেক আর ষড় ঋতুর বিষ্ময়পুত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাতিমের সৌরভ আর কৃষ্ণচূড়ার লাল এ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি। সেই হিসেবে শনিবার (১২ জানুয়ারি) এ বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রতিষ্ঠার ৪৮টি বছর অতিক্রম করে ফেলেছে।

জাতীয় ও অভ্যন্তরীণ আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রেখেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন এই ভূমির শিক্ষার্থীরা। এরশাদ সরকারের আমলে শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনেও শিক্ষার্থীরা সামনে থেকে আন্দোলন করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মানিক ও তার সঙ্গীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে টিকে থাকতে পারেনি এই ক্যাম্পাসে। এই আন্দোলন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন বলেও বেশ পরিচিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547258458100.jpg

১৯৬৪ সালের তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। তার ফলশ্রুতিতে ১৯৬৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যকরী সংসদ এরূপ একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই সময়ে ঢাকার কাছাকাছি কোন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের সালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে ১৯৬৭ সালে রাজধানী ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিষ্ঠার সময়কালীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৭৫০ একর জমি বরাদ্দ থাকলেও আশির দশকের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ৫০ একর ছেড়ে দিতে হয় ফলে এর পরিমাণ এসে দাঁড়ায় ৬৯৭.৫৬ একর।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547258475009.JPG

ঢাকা শহরের মুঘল আমলের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর’ থেকেই ১৯৭০ সালে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে মুসলিম শব্দটি কেটে এর নাম রাখা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি স্নাতক পর্যায়ে প্রথম ক্লাস শুরু হলেও ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রিয়ার এডমিরাল এস.এম আহসান।

১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, যিনি বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে ২০১৪ সালের ২ মার্চ থেকে দায়িত্ত্বরত আছেন (২য় মেয়াদ সহ)।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547258495288.JPG

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমে মাত্র ৪টি বিভাগ ২১ জন শিক্ষক আর ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের পরিবর্তনে এখন ৬টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ ও ৩ টি ইন্সটিটিউটে মোট সাতশ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষার্থী এখানে অধ্যায়ন করছেন। ছেলে-মেয়েদের জন্য সমান ৮টি করে মোট ১৬ টি আবাসিক হল রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

মৌলিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দেশের প্রথম প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ স্থাপিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বিভাগের অধীনে উয়ারী বটেশ্বরে খননকার্য চালানো হয়। বিজ্ঞান গবেষণার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র’।

সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী নামেও পরিচিত। বছরব্যাপী নাটক, বিতর্ক, আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীতানুষ্ঠানসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখরিত থাকে ‘সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ’। বিকেলে মুক্তমঞ্চ, খেলার মাঠ, ক্যাফেটেরিয়া চত্বর, টারজান পয়েন্ট, শহীদ মিনার, অমর একুশের পাদদেশসহ প্রভৃতি স্থানে জমে উঠে আড্ডা ও গানের আসর চলতে থাকে কোরাসের পর কোরাস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547258510352.JPG

দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই বিশ্ববিদ্যালয় অসংখ্য জ্ঞানী মানুষের সংস্পর্শ পেয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে প্রখ্যাত কবি সৈয়দ আলী আহসান, অধ্যাপক মুস্তাফা নূরুল ইসলাম, লেখক হুমায়ুন আজাদ, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কবি মোহাম্মদ রফিক।

এছাড়াও অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনু মুহাম্মদ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান, রসায়নবিদ অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, ইতিহাসবিদ এ কে এম শাহনাওয়াজ প্রমুখ।

এছাড়া সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনে রয়েছে সরব পদচারণ বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মর্তুজা যার অন্যতম উদাহরণ। এছাড়াও অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদি, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারুক আহমেদ, শুভাশীষ ভৌমিক, জাকিয়া বারি মম, বিদ্যা সিনহা মীম, সুমাইয়া শিমু প্রমুখ।

বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার। ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে হাত-পা হারানো দেশের বীর সন্তানদের শ্রদ্ধায় নির্মাণ করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’।

প্রকৃতির এ স্বর্গে রয়েছে কয়েকটি স্বচ্ছ পানির লেক। শীতের মৌসুমে এখানে প্রচুর অতিথি পাখি আসে। অতিথি পাখিদের শুভেচ্ছা জানাতে লেকগুলোতে ফুটে ওঠে হাজারও লাল শাপলা। তারই মধ্যে পাখিদের উড়াউড়ি আর জলকলির দৃশ্য মুগ্ধ করে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের। তাছাড়া ষড় ঋতুর পরিবর্তনে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলকে আকৃষ্ট করে। প্রজাপতির সংরক্ষণ ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে ‘প্রজাপতি পার্ক’।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতার পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা। পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হওয়া সত্ত্বেও হলগুলোতে রয়েছে তীব্র সিট সঙ্কট। এর ফলে ‘নিকৃষ্ট গণরুম সংস্কৃতি’ থেকে বের হতে পারছে না হলগুলো।

এদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের তালে এগিয়ে যাচ্ছে তখনও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে আছে প্রাচীন চিন্তা-ধারণা নিয়ে। লাইব্রেরী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীর পরীক্ষাপদ্ধতি, রেজাল্ট তৈরি করার সিস্টেম গুলো আজও সনাতন পদ্ধতিতে হচ্ছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ভুগতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

এছাড়াও দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবীগুলো অব্যক্ত থেকে যাচ্ছে। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে এখানকার উপাচার্যরা নিজেদের প্রভুর আসনে বসিয়ে স্বার্থের অনুকূলে থাকা সব মহাযজ্ঞ সাধন করতে সর্বদা তৎপর থাকেন। আর এসব মহাযজ্ঞের অন্তরালে ঢাকা পড়ে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়া গুলো। তবে সব সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে সবুজ গালিচা বিছানো পথের মতো আর সুউচ্চ শহীদ মিনারের মত বাংলাদেশ ও বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে আরও হাজার বছর বেঁচে থাক ‘প্রাণের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’।

 

১২.০১.১৯

   

ছাড়া পেলেন অস্ত্র মামলার আসামী ইলিয়াস মিয়া



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামিনে ছাড়া পেলেন অস্ত্র আইনের মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া।

সোমবার (২০ মে) জামিনে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে আমরা খবর পেয়েছি হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক তিনি জামিন পেয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত হন ইলিয়াস মিয়া। সেই মাসের ২৩ তারিখ তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। তবে নয় মাসের মধ্যেই তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ির সালমানপুর এলাকার ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক ম্যাগাজিন ও দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদি হয়ে ঐ দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

ইলিয়াস মিয়া কুবির ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ব্যাচ) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৮ মে তিনি কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ–বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।

;

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্রীড়া বিভাগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্যাম্পাসের ক্রীড়া বিষয়ক নানা সমস্যা দূরীকরণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (২০ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বির উপস্থিতিতে ক্রীড়া সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ রায় ও উপ ক্রীড়া সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ফুটবল মাঠে স্থাপিত দুইটি সুপেয় পানির কল সংস্কার এবং ক্রিকেট মাঠে অনতিবিলম্বে দুটি পানির কল স্থাপন করতে হবে, ক্রিকেট মাঠে স্থায়ী দুইটি প্লেয়ার ডগআউট স্থাপন করতে হবে, জিমনেশিয়াম এবং ইনডোর সপ্তাহে ৭ দিন খোলা রাখতে হবে, ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে নতুনভাবে কংক্রিট পিচ স্থাপন করতে হবে, ফুটবল ও ক্রিকেট মাঠ যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে, সকল ইনডোর এবং আউটডোর গেমস সমূহ যথাযথভাবে আয়োজন করতে হবে।

এসময় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বলেন, আমি স্মরকলিপিটি জমা নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক ছিলো। আমি দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করবো। আশা করি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নিবে।

;

সর্বজনীন পেনশন বাতিল চান শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন শিক্ষকরা এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২০মে) সকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া। লিখিত বক্তব্যে পেনশন স্কিম বাতিল না করা হলে প্রথমে তিন দফায় আন্দোলন ও পরবর্তীতে বড় ধরনের আন্দোলনের কথা জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া আরও বলেন, এই ব্যবস্থা পহেলা জুলাইয়ের আগে যোগদানকৃত এবং তার পরে যোগদানকৃতদের মধ্যে দুটি শ্রেণির জন্ম দেবে। একই কর্মক্ষেত্রে অবস্থানরত সহকর্মীদের মধ্যে এই বিভাজন শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রতিটি ধাপেই নতুন নিয়োগ হয়। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অন্য প্রভাব ফেলবে।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলে সেটিও নতুন নিয়োগের ভিত্তিতে হয়। এই ব্যবস্থা সরকারি অন্যান্য চাকরিজীবী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য তৈরি করবে, যা সংবিধানের সমতার নীতির পরিপন্থি। বর্তমান ব্যবস্থায় পেনশন বাবদ কোনো অর্থ কর্তন করা হয় না। 'প্রত্যয়' স্কিমে মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা ৫০০০ টাকা (যেটি সর্বনিম্ন) হারে টাকা কর্তন করার বিধান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন। 'প্রত্যয়' স্কিমে আনুতোষিক শূন্য। বিদ্যমান পেনশনার ও নমিনি আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হন। 'প্রত্যয়' স্কিমে পেনশনারের মৃত্যু হলে নমিনি পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পূর্তি হওয়া পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় পেনশনের ওপর বৎসরিক ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিষয়টি সুস্পষ্ট নয়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্জিত ছুটি নগদায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রস্তাবিত স্কিমে সে সুবিধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদকাল ৬৫ বছর। প্রত্যয় স্কিমে অবসরকালীন বয়স স্থির করা হয়েছে ৬০ বছর।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিষয়টির সুরাহা হয়। সেই আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের তৎকালীন নেতৃবৃন্দকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছিল।

অদ্যাবধি সে বিষয়টি কার্যকর করা হয়নি। সেটি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রদানের দাবি দীর্ঘদিনের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা মেধাবীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে পেশাগত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় ৪ জুনের পর কেমন আন্দোলন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, সেটা সময় আসলেই জানা যাবে। পলিসি মেইনটেইন যারা করছেন তার সাথে তো আমরা জড়িত না তবে একটা মহল তো আছেই যারা এ ধরনের কাজ করছে। একটি চক্র কি আসলে শিক্ষকদেরকে নিয়ে কোনো অপচেষ্টা চালাচ্ছে কি না সেটা গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা পলিসি যারা মেইনটেইন করে তাদেরকে নোটিশ করতে চাই।

সম্মেলনে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

;

ঢাবিতে বিবিএ পড়াকালেই সিএ ভর্তির সুযোগ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবিএ পড়াকালেই ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এ ভর্তির সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও, সিএ পড়ার ক্ষেত্রে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি কোর্স মওকুফ করা হবে।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশে সিএ শিক্ষা ও গবেষণার প্রসার এবং এবিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ এবং দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং আইসিএবি'র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন এফসিএ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ, আইসিএবি'র সিইও শুভাশিস বোস এফসিএ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এমবিএম লুৎফুল হাদী এফসিএ, ভাইস- প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার এফসিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

;