মসজিদে ধর্মীয় আলোচনা করায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মসজিদে ধর্মীয় আলোচনাকে কেন্দ্র করে ঢাবি আইন অনুষদের একদল শিক্ষার্থীর উপর 'শিবির' সন্দেহে হামলা করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাবির বঙ্গবন্ধু টাওয়ার সংলগ্ন মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাবির আইন অনুষদের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী রেজোয়ান আহমেদ রিফাত, শাহীনুর আলম রাসেল, সাকিব আজাদ তূর্য, রাফিদ হাসান সাফওয়ান এবং ফাহিম দস্তগীর।

এ হামলায় জড়িতদের মধ্যে ছাত্রলীগের শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল সুজনকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা চিহ্নিত করেছেন। তাওহিদুল সুজন ছাত্রলীগের মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, রমজান উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের নিচ তলায় মসজিদে 'প্রোডাক্টিভ রমাদ্বান' এর ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন আইন অনুষদের ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী। এ সময় বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সভাপতি সিরাজুল হক এবং ছাত্রলীগের কয়েকজন তাদেরকে 'আলোচনার অনুমতি নেই' বলে চলে যেতে বলেন।

এ সময় তারা বের হয়ে যেতে চাইলে বঙ্গবন্ধু টাওয়ার গেইটের সামনে বেশ কিছু মোটরসাইকেল থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালান। এ সময় অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয় বলে জানা যায়।

ঢাবির আইন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আবু তালহা বার্তা ২৪.কমকে বলেন, আইন অনুষদের নামাজের স্থান রয়েছে। সেখানে জামাতের সুযোগ না থাকায় আমরা বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে নামাজ পড়তে যাই।

তিনি জানান, আমরা খুবই সাধারণ ধর্মীয় ব্যাপারে আলোচনা করতে সেখানে গিয়েছিলাম। প্রথমে এখানকার সভাপতি এবং এক সময় লম্বা করে একজন এসে আমাদেরকে থ্রেট করা শুরু করে। এ সময় আমরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমাদের 'শিবির' ট্যাগ দিয়ে হামলা করে।

এ ঘটনায় আহত রেজোয়ান বার্তা ২৪.কমকে বলেন, রমজান কিভাবে কাজে লাগাতে পারি, এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেখানে হঠাৎ কয়েকজন এসে আমাদের বের হয়ে যেতে বলেন। আমরা বের হওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে নেমে অনেকে আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে গেইটের সামনে মারধর করা হচ্ছে। কিন্তু কারা এ হামলা করেছে তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন , বঙ্গবন্ধু টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক ছাত্রলীগের সুজনকে ডেকে পাঠান এবং 'শিবির' ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা সুজনের সাথে সিরাজুলের পূর্ব পরিচয় রয়েছে। সিরাজুলের ভাষ্যে, আজ দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটে সুজনের সাথে তার ফোনে কথা হয়েছে। তবে ডেকে এনে মারধরের বিষয় তিনি স্বীকার করেননি।

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল সুজন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে মারতে যাব? আমি সেখানে মারধর করার ঘটনার সাথে কোন ভাবেই যুক্ত নই।

উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এ ঘটনায় তার নাম জড়ানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, তাদের কোনো উদ্দেশ্য থেকে আমার নাম জড়ানো হয়েছে বলে আমার মনে হয়। আমি দেখলাম তারা ফেসবুক থেকে আমার একটা ছবি নিয়ে আমার নাম জড়িত করেছে।

   

গাড়িসহ কুবি ট্রেজারারকে পথরোধ, শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা



কুবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পথরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষক সমিতির এ কাজে বাঁধা দিয়েছে শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ। এতে শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত অবরোদ্ধ অবস্থায় মূল ফটকে গাড়িতে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলোতে যান উদ্ভুত পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানার জন্য।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়, ট্রেজারারের কার্যালয় এবং প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিতে যায়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে তারা দেখেন প্রশাসন থেকে আগে থেকেই উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝোলানো। ফলে উপাচার্য দপ্তরে আর তালা দিতে পারেননি তারা।

পরবর্তী সময়ে তারা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে দেখেন ট্রেজারার তার গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মূল ফটকে অবস্থান নেন তারা এবং ট্রেজারারের গাড়ির চাবি দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ট্রেজারার তাদের কথার সাথে একমত না হওয়ায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে তাকে পথরোধ করেন।

শিক্ষক সমিতি ট্রেজারারকে পথরোধ করা অবস্থায় শিক্ষকদের একটি অংশ শিক্ষক সমিতির সাথে তালা লাগানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা করেন। এ সময় তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তালা সংস্কৃতি' বন্ধ চান বলে মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার দিন কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু তারা পরবর্তীতে লিখলো শিথীল থাকবে। এটা এক প্রকার প্রতারণা। আমরাও শিক্ষক সমিতির সদস্য। এভাবে শিক্ষক সমিতি খেয়াল খুশি মত চলতে পারে না। আমরা এই তালা সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাই। কিছু হলেই তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করি। শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ যে প্রতারণা করলো সাধারণ শিক্ষকদের সাথে সেই প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছি।'

এ ব্যাপারে কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের যত অনিয়ম হচ্ছে তার সহায়ক হচ্ছেন ট্রেজারার। আর এই অনিয়মগুলো তিনি চালু করেছেন। অর্থ কমিটির বিশৃঙ্খলা, শিক্ষকদের টাকা পয়সা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করাসহ এই যে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তার সবকিছুর পেছনে তিনি আছেন। এই কারণে শিক্ষকরা সাধারণ সভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমাদের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রক্টর হিসেবে যদিও শিক্ষার্থীদের উপরে আমার দায়িত্ব তারপরেও সার্বিক শৃঙ্খলার ব্যাপারটা আমাদের উপরে আসে। আজকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিলো। আজকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত ট্রেজারারকে তারা এভাবে পথ আটকে দিয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষক হিসেবে তারা নৈতিকতার জায়গা লঙ্ঘন করেছে।'

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে উপাচার্য স্যার। এখন বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে, সচল রাখতে কি করণীয় সে বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলার জন্য যাচ্ছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে ফোন দেওয়া হলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল কুবি শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি চিঠিতে তাদের সাতটি দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। শিক্ষক সমিতির দেওয়া সাত দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২৫ তারিখ সকালে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের ও প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেন। তবে ২৭ এপ্রিল গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মসূচি শিথীল করে এবং তালা খুলে দেয়। তবে আজকের (২৭ এপ্রিল) অফিস সময়সূচি শেষ হওয়ার পর তারা আবার তালা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে।

 

;

জাবিতে ইতিহাস পরিবহনের ৮ বাস আটক, ৬০ হাজার টাকায় মুক্তি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের হঠাৎ ব্রেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের এক ছাত্রীর বোনের প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৮টি বাস আটক করে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইতিহাস পরিবহনের চেকার জসিম হাওলাদার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকের বোন ক্যাম্পাসে তার বন্ধুদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে আরিচাগামী রুটের বাসগুলো আটক করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় মহাসড়কের মাঝখানের লেন থেকে একটি মোটরসাইকেল ইউটার্ন নেওয়ার সময় পিছনে থাকা ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস ব্রেক করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। তখন ইতিহাস পরিবহনের বাসের পিছনে থাকা সাভার পরিবহনের একটি বাসও ব্রেক করলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর বড় বোনের ব্যক্তিগত গাড়ি ওই বাসের পিছনে এসে সজোরে ধাক্কা খায়।এতে গাড়িটির সম্মুখভাগ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরবর্তীতে জাবির সেই ছাত্রী তার বিভাগের বন্ধুদের ঘটনাটি জানালে তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উপস্থিত হয়ে ইতিহাস পরিবহনের ৮টি বাস আটকে চাবি নিয়ে নেয়।

বাস আটকের বিষয়ে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. সাগর বার্তা২৪.কমকে জানান, আমাদের (ইতিহাস) একটি বাস সাভারের শিমুলতলায় হার্ড ব্রেক করলে পেছনে থাকা সাভারের পরিবহনের একটা বাস গতি সামলাতে না পেরে আমাদের বাসের পেছনে মেরে দেয়। আর সাভার পরিবহনের বাস যখন ব্রেক কষে তখন পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকার সাভার পরিবহনের সেই বাসের পেছনে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জের ধরে সাভার পরিবহনের বাসটি না আটকে আমাদের বাসগুলো আটক করে রাখে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারে থাকা জাবি শিক্ষার্থী বলেন, এত বড় একটি ঘটনা ঘটার পর পেছনে কেউ মারা গেল নাকি বেঁচে আছে, সেটি না দেখে বাসটি দ্রুত টান দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার প্রাইভেটকারের চালক ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠে কেন এমন হার্ড ব্রেক করল, জানতে চাইলে বাসের চালক এবং সহযোগী খারাপ ব্যবহার করে হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা চাই।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে ইতিহাস পরিবহনের ৫টি বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির মধ্যে চালক-সহযোগীদের কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, আবার কেউ রাস্তায় বসে আছেন। এসময় চালক ও স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮টি বাস আটক করলেও ৩টি বাসের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা চাবি নিতে ভুলে যায়। পরে সেই তিনটি বাস চলে যায়।

প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ব্যাপারটি দফারফা করেছেন বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সাভার টু জিরানি রুটের ইতিহাস পরিবহনের চেকার মো. জসিম হাওলাদার।

তিনি বলেন, সাভার পরিবহনের বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাস আটকে রেখে তারা ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাচ্ছে। এটা কোন ন্যায়সঙ্গত কথা! তারপরও উভয় পক্ষ আলোচনা করে এক পর্যায়ে ৬০ হাজার টাকায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে গাড়ির চাবিগুলো নিয়েছি।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: জবি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ৮৩.০৪ শতাংশ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৮৩.০৪ শতাংশ। এদিন বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জবির কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা শেষে এসব তথ্য জানান জবির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (মূল কেন্দ্র) এবং পাঁচটি উপকেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জবি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৫৭৯ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার ৮ জন পরীক্ষার্থী।

উপকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৩৩৮জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জন, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬১১ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৫ জন এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ২৬৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন পরীক্ষায়।

উপস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে। কলেজটিতে উপস্থিত ছিল ৮৪.৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪.৩৫ শতাংশ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৮৪.১০ শতাংশ, সরকারি বাংলা কলেজে ৮৩.২৫ শতাংশ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৮৩.১৬ শতাংশ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৯.৫৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অর্থাৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কেন্দ্রে ৫৩ হাজার ৮১৫ জনের আসন সাজানো হলেও পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ১২৯ জন।

এদিকে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হওয়া আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায় জবি ক্যাম্পাসে ২ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। এর মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৩.৪০ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ১২টা থেকে দেশের ২৩টি মূল কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩ মে 'বি'(মানবিক) ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯০ শতাংশের উপরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার গড়ে ৯০ শতাংশের উপরে ছিল বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১টায় শেষ হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে এবং সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতির হার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে। তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গড় উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের উপরে। আর যবিপ্রবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত আর্কিটেকচার ড্রয়িং পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও ছিল সন্তোষজনক। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল সাড়ে ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তবে পরীক্ষায় তাদের গড় উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের উপরে।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

;