বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব পৃথিবীর নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের সম্পদ: ঢাবি উপাচার্য



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. এ.এস.এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব পৃথিবীর সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঢাবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম ছিল জনগণের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা ও গভীর আস্থা। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি জনগণেরও ছিল অকৃত্রিম আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। শৈশব ও কৈশোর থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত ও বিকশিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একটি নতুন ইতিহাস, আর এই ইতিহাসই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন। মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন। এজন্য তিনি কখনও পরাজিত হননি, সাহস নিয়ে সকল প্রতিকূলতা ও অপশক্তি মোকাবেলা করে সবসময় এগিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের উপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো ও আত্মাহুতি দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততার সাথে বলিষ্ঠ আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মহত্ত্ব অর্জন করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব কালোত্তীর্ণ ও কালজয়ী এবং তিনি পৃথিবীর সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ।

স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ও দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি যে দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ ও দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এছাড়া, শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বা’দ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। কার্জন হল ও টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে এগারোটায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

   

রাঙামাটিতে জিএসটি প্রথম ধাপের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) প্রথম ধাপের জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাঙামাটি রাবিপ্রবি’র অধীনে মোট আটটি কেন্দ্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম দফায় ৮ হাজার ৫শ ৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন, রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।

রাবিপ্রবি’র বঙ্গবন্ধু কর্নারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসি জানান, দেশের অন্যতম পর্যটন শহর রাঙামাটিতে এবছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তিন দফায় ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ ইউনিটে অংশ নেবেন সর্বমোট ১৪ হাজার ৫শ ৩০ জন পরীক্ষার্থী।

তিনি বলেন, শনিবার প্রথম দফা ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শহরের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা গুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভিসি জানান, এবার জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটের অধীনে ৮ হাজার ৫শ ৮২, ‘বি’ ইউনিটের অধীনে ২ হাজার ৭শ ৪৪ এবং ‘সি’ ইউনিটের অধীনে ৩ হাজার ২শ ৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

পুলিশ প্রশাসন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, সংবাদমাধ্যমকর্মী, হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, অটোরিকশা মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সুন্দর ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভিসি।

এলাকাবাসীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, আমাদের রাঙামাটি জেলায় আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ। এতবড় আয়োজনে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য রাঙামাটির পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

এসময় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম (বার), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার প্রথমবারের মতো রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত রাবিপ্রবি’র গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রায় ২শ ৫০ পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে পুরো রাঙামাটি শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয়।

রাবিপ্রবি'র তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রধান কেন্দ্র হচ্ছে, রাবিপ্রবি ক্যাম্পাস এবং উপ-কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, রাঙামাটি সরকারি কলেজ, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোনঘর আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ আবদুল আলী একাডেমি এবং ভেদভেদী পৌর উচ্চ বিদ্যালয়।

;

‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ নিয়ে পরিক্ষার্থীদের পাশে ইবি ছাত্রলীগ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের সমন্বিত গুচ্ছ ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশংসিত হচ্ছে শাখা ছাত্রলীগের সহায়তামূলক কার্যক্রমগুলো। অন্যান্যবারের মতো এবারও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে শাখা ছাত্রলীগের জয়বাংলা বাইক সার্ভিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো দূরে হওয়ায় পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে শেষ মুহুর্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগের জয় বাংলা বাইক সার্ভিস।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি ‍পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, অভিভাবক ছাউনির ব্যবস্থা করেছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, আবাসন, স্যালাইন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিনামূল্যে কলম বিতরণ করেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেরিতে আসা ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে মেইন গেইটে অপেক্ষায় আছে একদল ছাত্রলীগ কর্মী। তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের সামনে রেখেছেন বাইকগুলো। অভিভাবক তাঁবুতে ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিনামূল্যে খাবার পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে।

পাবনা থেকে আসা পরীক্ষার্থীর নাহিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘দূর থেকে আসায় টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। শেষ মুহূর্তে এসে কোনদিকে সিট বা হলে কিভাবে যাবো তা নিয়ে দিশেহারা ছিলাম। তখন স্বেচ্ছাসেবী ভাইদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়ে যান। তাদের এই সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই দিকপাল তাদের সার্ভিস নিয়ে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকের এই জয় বাংলা বাইক সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি। এতে করে দেরিতে আসা শিক্ষার্থীরা যেমন দ্রুত হলে পৌঁছাতে পারছে পাশাপাশি তাদের এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে হল খোঁজার বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে না। এছাড়াও আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য তীব্র গরমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অবিভাকদের বসে বিশ্রাম নেয়ার স্থান, শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা উপহারসহ প্রতিটা হল এবং আবাসিক হলের সামনে হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে করে দূর দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হচ্ছে বলে আশাবাদী।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, অনেক সময় পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসতে বিলম্ব হয়ে যায়, তাই দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের একটি টিমের অনুমোদন পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। আমরা মোট ৬টি বাইকের ব্যবস্থা রাখছি ৬টি হলের জন্য। তারা শিক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে।

;

তাপদাহেও ঢাবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের ভিড়



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার শুরু হয়েছে আজ। মোট ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে প্রতিষ্ঠিত এই গুচ্ছ পদ্ধতি। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মোট তিন ইউনিট মিলে ২০ হাজার ৩৫০টি আসনের এই ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন পড়েছে আবেদনকারীদের। ভয়াবহ তাপদাহেও পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও ভিড় করছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা যায়। বেলা ১২টায় পরীক্ষার সময় দেওয়া হলেও সকাল ৯টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

তীব্র গরম পড়লেও ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর সামনে ফাঁকা স্থান চোখে পড়ে নি । অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে চলছে না কোন যানবাহনও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা পরীক্ষার্থী নীলা আক্তার জানান, বিজ্ঞান ইউনিট থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছি তবে ভর্তির সুযোগ হয় নি। এটাই শেষ সুযোগ স্বপ্ন ছোঁয়ার। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি তাই গরম বেশি হলেও এই পরীক্ষা দিতে সাবধানতার সাথে অনেক আগেই এসে উপস্থিত হয়েছি কেন্দ্রে।

নরসিংদী থেকে আসা শিক্ষার্থী সুস্ময় দাস বলেন, আমরা ঢাকায় থেকে কোচিং করেছি। তাই আবেদন করার সময় ঢাকায় কেন্দ্র দিয়েছি। ঢাকা থেকে আবেদন করায় আমার সিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। যার ফলে এখন আমার নরসিংদী থেকে আসতে হয়েছে এত গরমে।

কুমিল্লা থেকে আসা এক অভিভাবক তারিক জামিল বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। তার কেন্দ্র পরেছে কার্জন হলে। সে ঢাকাতেই ভর্তি কোচিং করেছিলো। কুমিল্লা থেকে আমি ওকে কেন্দ্রে নিয়ে আসতেই সকালের ট্রেনে এখানে এসেছি। আমি একটি সরকারি অফিসে চাকরি করি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানকে মেয়েকে পড়ানো আমার স্বপ্ন তাই এই গরমেও যতটুকু পারছি সাপোর্ট দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, তীব্র তাপদাহে যেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোন সমস্যা না হয় সেজন্যে ঢাবির বিএনসিসি এবং রোভার ইউনিট সদস্যদের নানা ধরণের সেবামূলক দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

;

ইবি কেন্দ্রে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু 



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি একাডেমিক ভবনে বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয় যা চলবে বেলা ১ টা পর্যন্ত। ইবি কেন্দ্রে এ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে ৬ হাজার ৪৪২ জন ভর্তিচ্ছুর।

এর আগে সকাল ১০টা থেকেই প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে ভর্তিচ্ছু পরিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে থাকে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও আশপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র।

পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানসহ প্রশাসনের সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিতে ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে।

এদিকে, গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্খিত ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

;