বেরোবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সারোয়ার আহমাদ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান করা হয়েছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সারোয়ার আহমাদ ।

রবিবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদের নির্দেশে উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডলের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ দুই মাস ধরে শূন্য রয়েছে। গত ১০ মার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হলে বিভাগের ৩ শিক্ষক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী নজরুল ইসলামের পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের পাওয়ার কথা। কিন্তু মামলা জটিলতার কারণে তাকে দায়িত্ব দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে বিভাগীয় প্রধানের পদ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩ শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহার, সারোয়ার আহমাদ ও মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা তা গ্রহণ করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাসহ জটিলতায় পড়ে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনকে। কিন্তু তিনিও এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন।

বিজ্ঞাপন

সারোয়ার আহমাদকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিভাগের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিভগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর স্থাপনকল্পে প্রণীত ২০০৯ সনের ২৯ নং আইনের ধারা ১১ (১১) অনুসারে মো. সারোয়ার আহমাদকে একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব প্রধান করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়,এই নিয়োগ আদেশ ২৬ মে ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদ বলেন, বিভাগে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীরা সেশনজটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। আশা রাখি এই সংকট কাটিয়ে বিভাগের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।