সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবি ইবি কর্মকর্তাদের
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয়' স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। এসময় বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন তারা।
সোমবার (৩ জন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের সামনে বটতলায় প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলন, প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নে একজন কর্মকর্তা মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত ভাতা পাবে, যা বর্তমানে চালু থাকবে না। একজন সচিব ঠিকই রিটায়ারমেন্টের পর ভাতা পাবে কিন্তু আমাদের থাকবে না। এমনই নানা রকম অসঙ্গতি রয়েছে এই সিস্টেমে। তাই এই বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওতামুক্ত রাখতে হবে।
আরও বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন ঘোষণা করেন তখন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিম অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের ফলেই এটি হয়েছে। আমরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।