কুবির তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল ‘অযৌক্তিক'; দাবি শিক্ষকদের

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি থেকে তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি। তবে সদস্যপদ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা বলছেন, 'এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'

সদস্যপদ বাতিল হওয়া তিনজন শিক্ষক হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পৃথক তিনটি চিঠি থেকে এই বিষয়টি জানা গেছে।

চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ মে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে তিন শিক্ষকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ কার্যদিবসের মাঝে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে সেটির জবাব দেন তিন শিক্ষকই। তবে সেটিকে 'সন্তোষজনক নয় বলে বিবেচিত' করে শিক্ষক সমিতি। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে হতে তাদের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এই বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, 'আমার সদস্যপদ কেন বাতিল হলো তা আমি জানি না। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি। কিন্তু সেটিকে অসন্তোষজনক উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করা সম্পূর্ণ অবৈধ, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছি। পাশাপাশি এটি আমার চরিত্র হননের জন্য একটি পন্থা মনে হচ্ছে।'

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার বলেন, 'আমার কারণ দর্শানো অসন্তোষজনক এমন উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করাটা রাজনৈতিক মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অযৌক্তিক।'

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমি শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করিনি। বরং শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা তিন দপ্তরে তালা দিয়েছিলো সেটির বিরোধিতা করেছি। আমি মনে করি আমাদের সদস্যপদ বাতিল না করে যারা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কাজ করেছে তাদের সদস্যপদ বাতিল করা উচিত। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'

শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'আমরা তিনজন আলোচনা করছি। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবো।'

এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, 'সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের যথাযথ আইন মেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমেই উনাদের (তিন শিক্ষক) সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তাই এটিকে অবৈধ এবং অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ নেই।'