ঢাবিতে প্রশ্নপত্রে বেনজীরের 'দুর্নীতি' ও আনারের 'হানিট্র্যাপ'
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতে গিয়ে খুন হলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার। সোনা চোরাচালানসহ নানা বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার তথ্য উঠে এসেছে তার সম্পর্কে। তাদের দুজনের ঘটনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের একাডেমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বেনজীরের দুর্নীতি ও আনারের 'হানিট্র্যাপ' নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। এতে নেটিজেনরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন এখনো চালু আছে বলে প্রসংশা করছেন।
সোমবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ৫০২ নম্বর কোর্সের প্রথম ও দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষায় বেনজীরের দুর্নীতি ও আনারের 'হানিট্র্যাপ' প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছে। ওই কোর্সের শিক্ষক ছিলেন অধ্যাপক ড. এ.আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তুখোড় আলোচিত এ দুটি ঘটনা নিয়ে সারাদেশের মানুষ এখন সরব। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মুজাহিদ ইসলাম বলেন, এটাই আমাদের মাহবুব স্যারের প্রশ্নের সৌন্দর্য। তিনি খুবই বাস্তববাদী এবং সময়োপযোগী বিষয়ে ছাত্রদের পাঠদান করান এবং সেই সব উদাহরণ দিয়েই প্রশ্ন করেন।
প্রশ্নপত্রের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.কামরুল হাসান মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের একটি কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষায় বেনজীরের দুর্নীতি ও আনারের হানিট্র্যাপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছে (কমেন্ট থ্রেডের প্রথম কমেন্টে প্রশ্নের কপি দেওয়া হলো)। ওই কোর্সের শিক্ষক ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কিংবদন্তিতুল্য শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ.আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। এমন প্রশ্ন কেবল সেই মানের শিক্ষকের পক্ষেই সম্ভব। এইটা নিশ্চই সিলেবাসে ছিল না। আর এর চেয়ে তরতাজা মচমচা বিষয়ে প্রশ্ন পৃথিবীতে কোথাও হয়েছে কিনা জানিনা। এইটাই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মজা। শিক্ষক যাহা কিছু পড়াবে, বলবে বা প্রশ্ন করবে তাহা কিছুই সিলেবাস। এর চেয়ে সৃজনশীল প্রশ্নও আর হয় না। কারিকুলাম দিয়ে, সিলেবাস দিয়ে সৃজনশীল লেখাপড়া বানানো যায় না। এর জন্য দরকার সৃজনশীল শিক্ষক। আর এইদিকে আমাদের স্কুলের কারিকুলাম কারিগরেরা ভাবতেছে কারিকুলাম বদলে শিক্ষার মান বদলে ফেলবে।