ঢাবিতে চালু হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সার্টিফিকেট কোর্স

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্লাইমেট চেইঞ্জ এন্ড হেলথ প্রমোশন ইউনিট (সিসিএইচপিইউ)-এর যৌথ উদ্যোগে ৩ মাসব্যাপী 'জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনস্বাস্থ্য' বিষয়ক এক সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এম এ লতিফ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন এবং ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, জাতিসংঘের ইআরডি উইং-এর প্রধান এ কে এম সোহেল, পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এর জলবায়ু বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর ডেভিড শিমকুস, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা এফসিডিও এর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. শফিকুল ইসলাম এবং সিসিএইচপিইউ এর কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বৃদ্ধি পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ নানা ধরনের রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে এবং এর ফলে মানব স্বাস্থ্য ভয়ংকর ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তন এখন মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোকে এর ক্ষতিকর প্রভাব অনুভব করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু সহিষ্ণু ও সুরক্ষিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান লাভ করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালঞ্জসমূহ মোকাবিলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, এই কোর্সে শিক্ষক, গবেষক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধিগণসহ ৪০ জন অংশগ্রহণ করছেন।