‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা ইবিশিস'র



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয় জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে ফের তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ইবিশিস)। এর আগে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে চলমান আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ইবিশিস) ওই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষদ ভবনের নিচতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। তবে পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

সোমবার (২৪ জুন) ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কর্মবিরতিসহ তিন দফা দাবির বিষয়ে জানানো হয়।

তাদের অপর দাবিগুলো হলো- প্রতিশ্রুতি সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন। এদিকে কর্মবিরতির পাশাপাশি প্রতিদিন এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৪ জুন তারিখের মধ্যে ১৩ই মার্চ ২০২৪ তারিখ জারিকৃত 'প্রত্যয় স্কিম' সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তবে আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে। তবে পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। এরপর ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে এবং এদিনও পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়াও ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

এ বিষয়ে ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আগামী ৩০ জুলাই আমরা দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করবো। পরীক্ষাসমূহ এর আওতার বাইরে থাকবে। এতেও দাবি না মানা হলে আমরা পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি করবো৷ ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম আমরা বর্জন করবো।

রাবিতে নিয়োগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় অধিশাখা-২ এর যুগ্ম সচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে এবিষয়ে এদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে আমরা এবিষয়ে অফিশিয়ালি এখনও চিঠি পাইনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান এবং প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাবির সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।

পরে ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে রাবি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের তিন মাস না পেরোতেই ২৬ অক্টোবর রাবির সব নিয়োগের ওপর আবারও স্থগিতাদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগ অনিয়মের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন মামলা চলমান থাকায় পুনরায় এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল।

;

বাংলাদেশে ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বাংলাদেশে জাপানের ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন

ছবি: বাংলাদেশে জাপানের ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে জাপানের ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাপানের বিখ্যাত ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস করা হবে। এর কার্যক্রম আগামী বছর এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে।

ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মো. নাওতো টোমিওকা বলেন, Bhalojob.com এর মাধ্যমে ভর্তি হয়ে তিন বছরের কোর্স করতে পারবেন। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট ও ছাত্রদেরকে জাপানে পাঠানো হবে। সেখানে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ শেষে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। স্বল্প খরচে জাপানে চাকরির ব্যবস্থা হবে। এর সকল কার্যক্রম অনলাইনে মাধ্যমে হবে।

তিনি বলেন,ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুনামের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তার একটা শাখা অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে চালু করা হচ্ছে।

Bhalojob.com এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মইনুল তাহমিদ বলেন, বাংলাদেশের জাপানে পড়াশোনা করতে গেলে প্রতিবছর ১৫ লাখের মতো টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির যে অনলাইনে শাখাটি খোলা হচ্ছে এর মাধ্যমে কম খরচে ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পাবে এবং ও স্বল্প খরচেই জাপানে চাকরির ব্যবস্থা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা বিভাগের ম্যানেজার মো. মাসাহিরো ইকেদা, Bhalojob.com প্রজেক্ট ম্যানেজার রাফসান জানি প্রমুখ।

;

প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখবে জাবির শিক্ষকরা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জাবির শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি: জাবির শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন শেষে অবস্থান কর্মসূচিতে 'আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার ও জারিকৃত প্রজ্ঞাপন তুলে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফিরবো না। কোন শিক্ষক তাদের দায়িত্ব পালন করবে না। একাডেমিক হোক বা গবেষণা হোক আমরা কোথাও অংশগ্রহণ করবো না। প্রক্টর তার দায়িত্ব পালন করবে না, ডিনরা তাদের দায়িত্ব পালন করবে না, বিভাগের সভাপতি ক্লাসে আসবে না। কিন্তু আমরা আন্দোলন সফল করেই ছাড়বো। আপনারা চাইলে আমরা স্বতন্ত্রভাবে শুধু জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলন জারি রাখবো৷' ৷

তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবির আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিছপা হটবো না৷ ৩০ তারিখ থেকে আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাব। আর ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন ও আন্দোলন করবো৷ আমরা যারা চাকুরী শেষে পেনশন এ যাব আমরা আর কোন পেনশন পাব না। কিন্তু আমরা এ অযৌক্তিক স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত হতে চাই না। আমরা তাই শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সর্বাত্মক আন্দোলন জারি রাখবো৷

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা৷

এসময় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা দ্রুততম সময়ে পেনশন সংক্রান্ত এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান৷

বঙ্গবন্ধু আমাদের যে সম্মান দিয়ে গেছেন তা যেন কেউ বিনষ্ট না করে মন্তব্য করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, আমরা বেশি কিছু চাই না, আমাদের শুধু চাওয়া সম্মান। দেশ ও জাতিকে শিক্ষিত করার যে গুরুদায়িত্ব আমাদের উপর তা রক্ষার জন্য শিক্ষকদেরকে সম্মানহানি করা যাবে না। অথচ আমাদের যে ফেডারেশন আছে তাদেরকে বাইরে রেখে অত্যন্ত সুচতুরভাবে আমাদেরকে পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে। কিন্তু শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেই এর অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছ কিন্তু আমলারা কেউ এর মধ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে সম্মানজনক ভাবে পেনশন পেতাম সেটি যেন আবার ফিরে আসে। আমাদের যে চাওয়া সম্মান সেটি আমরা ফিরে পেতে চাই। এই সরকার এবং রাষ্ট্র যেন আমাদের প্রতি অবিচার না করে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে সম্মান না দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়া যে স্বপ্ন তা সম্ভব না। সরকারের যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয়। কারণ শিক্ষকরা যদি রাস্তায় নামে তাহলে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। আমরা প্রত্যয় স্কিম থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।

এছাড়াও গানিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবদুর রব বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতির তত্ত্বাবধানে যৌক্তিক আন্দোলন করে যাব। আমরা আমাদের দাবিতে অটল থেকে আন্দোলন করে যাব।

;

‘দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে’



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন জাবি শিক্ষকদের

অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন জাবি শিক্ষকদের

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকরা।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে ৬টি অনুষদ ও ইন্সটিটিউটসমূহের শিক্ষকরা দ্রুততম সময়ে এ পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সরকার নানা ক্ষেত্রে শিক্ষকদের চেপে ধরেছে মন্তব্য করে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, শিক্ষক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে পেনশন ছাড়া আমাদের তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। এটা আমাদের ন্যূনতম অধিকার। অন্যান্য সরকারি আমলাদের মতো আমাদের তেমন বেনিফিট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অবহেলিত। এসব বিবেচনায় পেনশন স্কিম বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে মন্তব্য করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদেরকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক। তাই শিক্ষকদের সম্মানে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন বলে জানানো হয়৷

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে আসছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ৩০ জুন পূর্ণ কর্মদিবস পালন করা হবে। তবে এ সময়ে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

;