শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

  • চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

বিদেশে গবেষণা বা পিএইচডি করার জন্য শিক্ষকদের ২০% শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দুইটি দাবি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য বরাবর পাঠানো চিঠিতে অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারেও দাবি করা হয়। এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে আছে। এমনকি কিছু সংখ্যক শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগও আটকে আছে। এসব শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগ জুনের পরে হলে তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয় স্কিম) এ অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এমতাবস্থায়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির বিষয়ে ২০% বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে অনেক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। অথচ অনেক শিক্ষক নিজ উদ্যোগে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের মাধ্যমে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন এবং তাদের অনেকের এমএস/পিএইচডি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই বাধ্যবাধকতা থাকা অবস্থায়ও এমন কোনো রেকর্ড নেই যে, ইতোমধ্যে কোনো শিক্ষককে শিক্ষা ছুটি প্রদান করা হয়নি।

এমতাবস্থায়, ২০% বাধ্যবাধকতার বিধান রহিত করার দাবি জানাচ্ছি। এটি রহিত না করা পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির আবেদনকরী শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি মঞ্জুর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান এ ব্যাপারে বার্তা২৪.কমকে জানান, দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় কিছু শিক্ষকের স্থায়িত্ব ও পদোন্নতি আটকে আছে, এগুলো যাতে ৩০ জুনের মধ্যেই সমাধান হয় এ ব্যাপারে আমরা উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি।

এছাড়াও ২০% শিক্ষাছুটি যাতে করে বাতিল করা হয়। কারণ একজন শিক্ষকের বাইরের দেশে যাওয়ার ব্যাপারটা এই কোটার উপর সীমাবদ্ধ নয়, এখানে অনেক পরিশ্রম ও ফান্ডের ব্যাপার আছে। ইতঃপূর্বেও অন্যান্য উপাচার্যগণ ২০% এর ওপরে শিক্ষা ছুটি দিয়েছেন। আমাদের দাবি যাতে করে ২০% শিক্ষা ছুটির শর্তটি রহিত করা হয়।