নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা

জাবিতে ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টায় দুই বহিরাগতকে পুলিশে সোপর্দ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে মনপুরা এলাকার প্রবেশপথে দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুই বহিরাগতকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আটক নাজমুল হাসান (৩২) সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা, তার স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার খলিলপুর গ্রাম। আরেক অভিযুক্ত আলামিন (২৮) একই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায়৷ এছাড়া অভিযুক্তদের মধ্য থেকে একজন পালিয়ে যাওয়ায় তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও তার নারী বন্ধু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন৷ এসময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। তারা সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়৷

পরবর্তীতে প্রায় তিনঘণ্টা আটকে রাখার পর রুহুল আমিন টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে বন্ধুদের ফোন করেন। এসময় সালাম বরকত হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসময় ছিনতাইকারীদের বেধড়ক মারধর করেন৷ অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেলেও অবশিষ্ট দু'জনকে হাতেনাতে ধরে নিরাপত্তা শাখায় হাজির করে শিক্ষার্থীরা৷ এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী৷

এদিকে ঘটনা ঘটার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর রাত দশটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে অভিযুক্তদের নিয়ে আসে৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের সঙ্গেমুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি যেহেতু বহিরাগতদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেহেতু নিরাপত্তা অফিস বিষয়টি দেখভাল করবে। আমি নিরাপত্তা অফিসকে সঙ্গেসঙ্গেবিষয়টি জানিয়েছি।

পরে রাত পৌনে একটায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল জানান, আমি এ ঘটনা জানার পরপরই প্রক্টর মহোদয়কে অবহিত করেছি। রেজিস্ট্রার মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশের সোপর্দ করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলা দেয়ার জন্য কিন্তু ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগের মামলা ভিকটিমকেই দিতে হয় বিধায় আমরা এখন ভিক্টিমকে নিয়ে থানায় যাচ্ছি৷

ঢাবি হল ক্যান্টিনে মাংসের রেসিপিতে নতুন উপকরণ ‘১০ টাকা’



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খাবারে টাকার নোট / ছবি: বার্তা২৪

খাবারে টাকার নোট / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবার প্রায়ই জন্ম দেয় নানা ধরণের সমালোচনার। পঁচা মাছ-মাংস, খাবারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অখাদ্য, খাবারের নিম্নমান ইত্যাদি কারণে প্রায়ই আলোচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের খাবার। এবার মাংসের তরকারিতে দশ টাকার নোট পাওয়া যাওয়ায় আবারো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা হচ্ছে হলের খাবার নিয়ে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মুহসিন হলের ক্যান্টিনে খেতে যান শামীম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। ওই ক্যান্টিনে বসে খাবার অর্ডার করলে তিনি গোশতেরে সঙ্গে মেশানো দশ টাকার একটি নোট দেখতে পান। শামীমের দাবি, মাংসের সঙ্গে দশ টাকার এ নোটটি রান্না হয়েছে। 

এ হলের শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো হল রয়েছে তারমধ্যে হাজী মোহাম্মদ মুহসিন হলের খাবার সবচেয়ে নিম্নমানের খাবার বলে আমাদের ধারণা। এ ব্যাপারে হল প্রশাসনের নেই কোনো পদক্ষেপ। এ হলের ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পরেন। অথচ অন্যান্য হলের ক্যান্টিনের খাবার দামেও ৫/১০ টাকা কম মানও অনেক ভালো।

তবে ক্যান্টিন ম্যানেজার রিপন হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রান্নার সময় টাকাটা ছিলো না। খাবার যেখান থেকে দেওয়া হয় সেখান থেকে হয়তো টাকা উড়ে মাংসের প্লেটে পড়তে পারে। টাকাটা কেও হয়ত টিপস দিয়েছিল। যেটা উড়ে এসে খাবারে পড়েছে। টাকাটা তো কাগজ, এটি রান্না করলে আস্ত থাকতো না। 

'অন্যান্য হলের ক্যান্টিনের খাবার দামে কম মানেও ভালো' শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আগে হয়ত খারাপ ছিলো। আগের তুলনায় খাবারের মান এখন অনেক ভালো। শিক্ষার্থীরা খাবার খেয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন।

;

রাবিতে নিয়োগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় অধিশাখা-২ এর যুগ্ম সচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে এবিষয়ে এদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে আমরা এবিষয়ে অফিশিয়ালি এখনও চিঠি পাইনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান এবং প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাবির সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।

পরে ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে রাবি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের তিন মাস না পেরোতেই ২৬ অক্টোবর রাবির সব নিয়োগের ওপর আবারও স্থগিতাদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগ অনিয়মের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন মামলা চলমান থাকায় পুনরায় এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল।

;

বাংলাদেশে ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বাংলাদেশে জাপানের ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন

ছবি: বাংলাদেশে জাপানের ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে জাপানের ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাপানের বিখ্যাত ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস করা হবে। এর কার্যক্রম আগামী বছর এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে।

ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মো. নাওতো টোমিওকা বলেন, Bhalojob.com এর মাধ্যমে ভর্তি হয়ে তিন বছরের কোর্স করতে পারবেন। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট ও ছাত্রদেরকে জাপানে পাঠানো হবে। সেখানে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ শেষে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। স্বল্প খরচে জাপানে চাকরির ব্যবস্থা হবে। এর সকল কার্যক্রম অনলাইনে মাধ্যমে হবে।

তিনি বলেন,ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুনামের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তার একটা শাখা অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে চালু করা হচ্ছে।

Bhalojob.com এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মইনুল তাহমিদ বলেন, বাংলাদেশের জাপানে পড়াশোনা করতে গেলে প্রতিবছর ১৫ লাখের মতো টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির যে অনলাইনে শাখাটি খোলা হচ্ছে এর মাধ্যমে কম খরচে ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পাবে এবং ও স্বল্প খরচেই জাপানে চাকরির ব্যবস্থা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ওকায়ামা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা বিভাগের ম্যানেজার মো. মাসাহিরো ইকেদা, Bhalojob.com প্রজেক্ট ম্যানেজার রাফসান জানি প্রমুখ।

;

প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখবে জাবির শিক্ষকরা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জাবির শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি: জাবির শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন শেষে অবস্থান কর্মসূচিতে 'আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার ও জারিকৃত প্রজ্ঞাপন তুলে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফিরবো না। কোন শিক্ষক তাদের দায়িত্ব পালন করবে না। একাডেমিক হোক বা গবেষণা হোক আমরা কোথাও অংশগ্রহণ করবো না। প্রক্টর তার দায়িত্ব পালন করবে না, ডিনরা তাদের দায়িত্ব পালন করবে না, বিভাগের সভাপতি ক্লাসে আসবে না। কিন্তু আমরা আন্দোলন সফল করেই ছাড়বো। আপনারা চাইলে আমরা স্বতন্ত্রভাবে শুধু জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলন জারি রাখবো৷' ৷

তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবির আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিছপা হটবো না৷ ৩০ তারিখ থেকে আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাব। আর ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন ও আন্দোলন করবো৷ আমরা যারা চাকুরী শেষে পেনশন এ যাব আমরা আর কোন পেনশন পাব না। কিন্তু আমরা এ অযৌক্তিক স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত হতে চাই না। আমরা তাই শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সর্বাত্মক আন্দোলন জারি রাখবো৷

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা৷

এসময় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা দ্রুততম সময়ে পেনশন সংক্রান্ত এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান৷

বঙ্গবন্ধু আমাদের যে সম্মান দিয়ে গেছেন তা যেন কেউ বিনষ্ট না করে মন্তব্য করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, আমরা বেশি কিছু চাই না, আমাদের শুধু চাওয়া সম্মান। দেশ ও জাতিকে শিক্ষিত করার যে গুরুদায়িত্ব আমাদের উপর তা রক্ষার জন্য শিক্ষকদেরকে সম্মানহানি করা যাবে না। অথচ আমাদের যে ফেডারেশন আছে তাদেরকে বাইরে রেখে অত্যন্ত সুচতুরভাবে আমাদেরকে পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে। কিন্তু শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেই এর অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছ কিন্তু আমলারা কেউ এর মধ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে সম্মানজনক ভাবে পেনশন পেতাম সেটি যেন আবার ফিরে আসে। আমাদের যে চাওয়া সম্মান সেটি আমরা ফিরে পেতে চাই। এই সরকার এবং রাষ্ট্র যেন আমাদের প্রতি অবিচার না করে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে সম্মান না দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়া যে স্বপ্ন তা সম্ভব না। সরকারের যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয়। কারণ শিক্ষকরা যদি রাস্তায় নামে তাহলে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। আমরা প্রত্যয় স্কিম থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।

এছাড়াও গানিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবদুর রব বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতির তত্ত্বাবধানে যৌক্তিক আন্দোলন করে যাব। আমরা আমাদের দাবিতে অটল থেকে আন্দোলন করে যাব।

;