কোটা সংস্কারের দাবিতে ফের উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস। রোববার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন করে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।

এ সময় 'মেধাবীদের কান্না, আর না আর না', 'কোটা প্রথায় নিয়োগ পেলে, দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে', 'দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান', 'কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক', 'মেধাবীদের যাচাই কর, কোটা পদ্ধতি বাতিল কর', '১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আবার', 'জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে'সহ বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ডে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে রাকসু আন্দোলনের মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, আমাদের আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে। আজকে আমাদের ২টি দাবি। প্রথমটি হলো, আমরা চাই কোটা থাকুক তবে ১০ শতাংশ এর বেশি নয়। আর দ্বিতীয় দাবি হলো, যে কোটা ব্যবহার করবে, সে সারা জীবনে একবারই কোটা ব্যবহার করবে। এর বেশি ব্যবহার করতে পারবে না।

স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, কোটা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে একটি বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। আমরা জানি ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা দেন এবং তারই পেক্ষিতে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেই পরিপত্রটি ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন। যেখানে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বহাল থাকে। আমরা চাই কোটা থাকুক, তবে ১০ শতাংশ এর বেশি নয়। ১ শতাংশ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩০ শতাংশ কোটা এটি নিঃসন্দেহে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। আর আমরা আরও চাই, একজন শিক্ষার্থীর সারা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করবে। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়, চাকরির সময় অথবা যেকোনো সময় মাত্র একবারই।

রফিকুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্ট থেকে একটি যুক্তিহীন এবং অবাস্তব রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা যদি উন্নত দেশের কোটা ব্যবস্থার দিকে তাকাই, আমরা দেখি আমেরিকায় মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার পরেও তাদের এরকম কোন কোটা নেই। তবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কোটা তারা রেখেছে। আমরা তেমনভাবে কানাডাতেও দেখি কোন কোটা নেই। আর বাংলাদেশে ৫৬ শতাংশ কোটা!

আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাবি

বুধবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি জাবি শিক্ষার্থীদের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ঘোষিত কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ ৪ দফা দাবিতে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন' এর ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এরপর প্রায় ২০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কেই একটি সমাবেশে বুধবার (৩ জুলাই) টানা দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা৷ ফলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়৷

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে সংশপ্তক ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত ৪ দফা দাবিসমূহ হচ্ছে- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকটা মানুষের সামাজিক ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাকরি প্রয়োজন। আর সেই চাকরির নিশ্চয়তা রাষ্ট্র আমাদের দেবে। তাই আজ থেকে আমি যেমন বেকারত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব। আরেকদিকে এই বৈষম্য বিরোধী কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলব।


এসময় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরণ এহসান বলেন, সংবিধানে বলা আছে শুধুমাত্র অনগ্রসর, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী, কিংবা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যই কোটা থাকবে। সংবিধানে অন্য কোনো কোটার উল্লেখ নেই। বাঙালি যুদ্ধ করেছে বৈষম্য রোধের জন্য। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পরও বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট সবসময় ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে৷

আগামী ৪ জুলাই এর মধ্যে সরকার দাবি মেনে না নিলে সারাদেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সমাবেশে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এসে দেখছি সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান। এই বৈষম্যের জন্য কি আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করোছিলাম? আমাদের মুক্তিযুদ্ধোরা কি এই বৈষম্যের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন? আমরা আবারও যুদ্ধে নেমেছি এই বৈষম্য দূর করার জন্য। আগামী ৪ জুলাই যদি সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।

সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরীদের জন্য কোটা বিবেচনা করা সরকারের সম্পূর্ণ যুক্তিহীন সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে উদ্ভিদবিজ্ঞান ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, কোটা রাখা হয় শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য, সেখানে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী কোটা যথাযথ, কিন্তু যারা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে কোটা বিবেচনা করা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন সিদ্ধান্ত। 

আগামীকাল বুধবার দুপুর ৩ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, আগামী ৪ জুলাই কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি আছে। তাই এই আন্দোলন বেগবান করতে বুধবার বিকেলে দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলন করছেন। তাদের আন্দোলনে আমাদের মৌন সমর্থন রয়েছে। কিন্তু তাই বলে যদি তারা লাইব্রেরি বন্ধ করে, হল বন্ধ করার পায়তারা করে তাহলে প্রশাসনকে ছাড় দেওয়া হবে না৷

;

কোটা পুনর্বহালের আন্দোলনে উত্তাল ঢাবি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা/ছবি: বাতা২৪.কম

শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা/ছবি: বাতা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণপদযাত্রা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখাকালীন তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। প্রতিবেদনে লেখা অব্দি পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় শ্যাডো হয়ে হলপাড়া হয়ে সুর্যসেন হলের পাশ দিয়ে মুহসীন হল প্রদক্ষিণ করে এগিয়ে যায়।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমরান হোসেন বলেন, কোটার মাধ্যমে বৈষম্য এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে বলা হয়েছিল, কোটা ধীরে ধীরে উঠে যাবে। কিন্তু ১৯৯৭ সালেও আমরা দেখেছি কোটায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জায়গায় নাতি নাতনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। কোটার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় জঘন্য বৈষম্য আমরা দেখেছি। এমনও হয়েছে বিসিএস পরীক্ষায় ২০০তম হয়েও কেউ ক্যাডার পায়নি, অন্যদিকে ৫ হাজারতম হয়ে কোটায় এডমিন ক্যাডার পেয়ে গেছে। কোটাধারী না থাকলে আসনগুলো শূন্য থেকেছে, তবুও সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়নি। এ ধরনের ভয়ানক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করতে হবে, এটিই আমাদের এক দফা দাবি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশ স্বাধীন করলো, সেই সাধীন দেশেই তাদের সন্তানদের কাছেই বৈষম্যের শিকার আমরা। এই বৈষম্য আমরা কোনোভাবেই মেনে নিবো না। ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করেই এই আন্দোলন থামবে।

প্রসঙ্গত, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা না মেধা মেধা মেধা, সারা বাংলায় খবর দে’ কোটা প্রথার কবর দে’ সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হুচ্ছে শাহবাগ মোড় এলাকা।

উল্লেখ্য, পদযাত্রাটি নীলক্ষেত, নিউমার্কেট হয়ে সায়েন্সল্যাব দিয়ে ঘুরে শাহবাগ মোড়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগ রাস্তা আটকে বসে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

;

কোটা আন্দোলনে উত্তাল শেকৃবি, আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটি শেষে আবারও কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ করেছে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।‌

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি উত্থাপন করে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, এটা কোন ব্যক্তির আন্দোলন নয়, প্রতিটি শিক্ষার্থীর আন্দোলন, সারা দেশের আন্দোলন। আজকে যদি দেশে যে মেধাগুলো আছে সেই মেধাগুলো কাজে না লাগে, মেধাগুলোর যে যোগ্য স্থানে যাওয়া উচিত সেখানে না যেতে পারে, অযোগ্য লোক যদি দেশের যোগ্য স্থানে চলে যায়, গোটা দেশ তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের মেধা যেন কাজে লাগে, দেশ যেন সামনের দিকে এগিয়ে যায়, সেই লক্ষ্যেই আমাদের এ আন্দোলন। যতদিন না আমরা সফল হয়, ততদিন আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে সেকেন্ড গেট সংলগ্ন আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে ১০ মিনিট আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক প্রতীকী অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে আগারগাঁও থেকে বিজয় স্মরণী পর্যন্ত দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা “উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার”, “কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর”, “আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

;

কোটা বহালের প্রতিবাদে জবিতে দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কোটা বহালের প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ/ছবি: বার্তা২৪.কম

কোটা বহালের প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কার ও আদালত কর্তৃক ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিলের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠাল তলার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মূল ফটক হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমাদের দাবি, ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ গ্রেডে কোটা প্রয়োগের আমূল সংস্কার করতে হবে। এছাড়া একই কোটা বারবার প্রয়োগের বিষয়টি বাতিল করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর্মহীন, সেখানে এই ধরণের কোটা প্রথা রীতিমতো বৈষম্য।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি উল্লেখ করেন। দাবিগুলো হলো: ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

;