শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহবাগে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহবাগে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহবাগে কোটা বিরোধী আন্দোলনে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এ সময় সায়েন্স ল্যাব, মিরপুর সড়ক, মতিঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা মোড় অবরোধ করে রেখেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, উপাচার্যের বাসভবন, রাজু ভাস্কর্য ঘুরে শাহবাগ এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া আন্দোলন চলমান থাকবে। একইসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিও চলমান থাকবে।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও দলনিরপেক্ষ ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় মহাসচিব নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা কোনো সাংবিধানিক বা মৌলিক অধিকার নয়। বরং আমাদের দাবি মৌলিক অধিকার। সংবিধান সুযোগের সমতার কথা বলেছে। আজ মেধাবীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আর একদিনও মেধাবীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হোক, এটা আমরা চাই না।

শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির ব্যাপারে জানান, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় যেন কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা না যায় এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে খেলায় মেতেছে শিক্ষার্থীরা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: মহাসড়ক অবরোধ করে খেলায় মেতেছে শিক্ষার্থীরা/বার্তা২৪.কম

ছবি: মহাসড়ক অবরোধ করে খেলায় মেতেছে শিক্ষার্থীরা/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবি জানিয়ে ‘বাংলা ব্লকেড'র সাথে সংহতি জানিয়ে ফের আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এবং কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও।

রোববার (৭ জুলাই) সাড়ে তিনটা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছে তারা।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা কুবির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চারটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এসে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় যোগ দেন বাকি দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানচলাচল। যানচলাচল বন্ধ থাকায় ফাঁকা রাস্তায় ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় মেতেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মেরাজ হোসাইন বলেন , 'আমাদের এই সময়টায় পড়ার টেবিলে বা খেলার মাঠে থাকার কথা ছিলো কিন্তু বর্তমানে কোটার এই সিস্টেমের জন্য আমাদের মহাসড়কে এসে আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমাদের দেশের এই বৈষম্য বাতিল করার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। রাজপথে আমাদের এই ক্রিকেট ফুটবল খেলার জায়গা না কিন্তু আমরা এটাই বুঝাতে চাচ্ছি আমরা এই আন্দোলন যতদিন না শেষ করতে পারবো ততদিন চালিয়ে যাবো।'

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম মাহিন জানান, 'আমার বয়স ১৯। এ বছর গুচ্ছে পরীক্ষায় দিয়ে মেধা তালিকায় কিছুটা পেছনে ছিলাম। কোটা না থাকলে অনায়াসে একটি সাবজেক্ট পেয়ে যেতাম। কোটার কারণে সাবেজেক্ট পাইনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েও একই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি।'

;

কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহাবাগ মোড় অবরোধ করে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

শাহাবাগ মোড় অবরোধ করে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগী না হয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা দেখি না।

এ বিষয়ে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মাহিন সরকার বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে আমরা কোটা বাতিল চাইনি। সেসময় সংসদকে তোয়াক্কা না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যখন পরিপত্র জারি করে তখন সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছিল। আজকে প্রধানমন্ত্রীর এধরণের বক্তব্য আমাদের কাছে আকস্মিক লেগেছে। আমরা এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছি।

কোটাবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর আরেকটু ভেবে এ ধরণের কথা বলা উচিৎ ছিলো। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছি না। আমরা পৌষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। প্রতিবন্ধী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা আমরা চাই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের পরে তাদের সন্তান, নাতি- নাতনিদের জন্য এত বেশি কোটা আশাব্যঞ্জক নয়। আমরা এর যৌক্তিক সংস্কার চাই। প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আমরা চাই সেটা মেধাবীদেরকে দিয়েই হোক।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের মোসাদ্দেক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশারবাণী শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ছাত্রসমাজ দারুণভাবে আশাহত হয়েছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক কোন আন্দোলন করছেন না। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখেই বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। সুতরাং আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা অযৌক্তিক কোন কিছু নয়। ছাত্র-জনতার জন্যই আইন, আইনের জন্য ছাত্রজনতা নয়।

তিনি আরও বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের কোথাও কোটা শব্দটির উল্লেখ নেই। সংবিধান সব সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আদালতের এই রায় কোনভাবেই ন্যায়বিচার হতে পারে না। তাই ছাত্রসমাজ রাজপথে আন্দোলন করার মাধ্যমেই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সব ধরনের বৈষম্য দূর করবে।

;

আগারগাঁও মোড় অবরোধ করে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা বিরোধী তীব্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এবং আগারগাঁও অঞ্চল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং আগারগাঁও মোড়ে অবরোধ পালন করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।‌

রোববার (৭ জুলাই) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ক্যাম্পাস জুড়ে স্লোগান-মিছিল দিয়ে আগারগাঁও আট রাস্তার মোড়ে জড়ো হয়।পরবর্তীতে শত শত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এসময় মিরপুর-ফার্মগেট এবং মহাখালী-শিশুমেলা সড়ক দুই ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। যার ফলস্বরূপ এই রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং দুই রুটে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। বিকাল পাঁচটার পরে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।


শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে মেধা-ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।

এই অবরোধকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে কোটা প্রথার বিরোধিতা করেন। শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্লোগান গুলো “উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার”, “কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর”, “আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের এই অবরোধকালীন সময়গুলোতে আমরা উপস্থিত ছিলাম। মানুষের দুর্ভোগ ও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য বারবার অনুরোধ করছি।'

এসময় ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।

;

ঢাবির কোটাবিরোধীরা শাহবাগে, ছাত্রলীগ মধুর ক্যান্টিনে



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাবির কোটাবিরোধীরা শাহবাগে, ছাত্রলীগ মধুর ক্যান্টিনে

ঢাবির কোটাবিরোধীরা শাহবাগে, ছাত্রলীগ মধুর ক্যান্টিনে

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ এর মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজারো শিক্ষার্থী। আর মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় কোটাবিরোধীদের মিছিল শুরুর কিছু সময় আগ থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন।

ঢাবির হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ হল থেকে মিছিল নিয়ে এসে মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন। এসময় মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে যেন হলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকতে না পারেন, সেজন্য মধুর ক্যান্টিনে কর্মসূচি দিয়ে রাখে ছাত্রলীগ। এছাড়া হলের অভ্যন্তরীণ পলিটিক্যাল মেসেঞ্জার গ্রুপগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংগঠনের 'কনসার্ন' ছাড়া কোথাও না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এ ধরনের বার্তা সংবলিত স্ক্রিনশট পাওয়া গিয়েছে।

তারা আরও জানান, যখনি কোটা আন্দোলনের সময় হয় তখনি শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা রুমে এসে জানান দেন মধুর ক্যান্টিনে 'প্রোগ্রাম' আছে, যেতে হবে'।

প্রসঙ্গত, এর আগেও গত ৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সূর্যসেন হলের কলাপসিবল গেট আটকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

;